নয়াদিল্লি: তিহার জেলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। ঘটনায় খুন হয়ে গেল এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার নাম প্রিন্স তেওতিয়া(Prince Tewatia)। শুক্রবার তিহার জেলের(Tihar Jail) তিন নম্বর জেলে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, প্রিন্সের বিরুদ্ধে ১৬ টি অপরাধের মামলা ছিল। খুন, ডাকাতি, লুটের মত গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ ছিল। তাকে জেলের মধ্যে ছুরি মারা হয়। পরে তার মৃত্যু হয়।
২০০৮ সালে প্রথম প্রিন্সের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রুজু হয়। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর হাতে গ্রেফতার হয় প্রিন্স। প্রিন্সের বাবাকে এক যুবক চড় মেরেছিল। সেই যুবককে খুন করে প্রিন্স। তারপর থেকে অপরাধ জগতে সূচনা তার। ২০১০ সালে খুনের অভিযোগে পুলিশ প্রিন্সকে গ্রেফতার করে।দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জেলের নাম সামনে এলে সামনে আসে তিহার জেলার নাম। সেই জেলে নিরাপত্তার বেআব্রু চেহারা ফুটে উঠল। জেলের ভিতর খুন হয়ে গেল এক ব্যক্তি। এই দায় কার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন হচ্ছে জেলে নিরাপত্তা নিয়েও।
জানা গিয়েছে প্রিন্স তেওয়াতিয়া লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল।
আরও পড়ুন: Aajke | রেখেছ বিজেপি করে মা গো, বাঙালি করোনি
প্রিন্স ২০১০ সালে আম্বেদকর নগর থানার পুলিশের হাতে খুনের ঘটনায় ধরা পড়ে। এরপর ভুয়ো নথি দেখিয়ে নিজেকে নাবালক দাবি করে প্রিন্স। সাকেত থানায় ভুল নথি জমা সংক্রান্ত মামলাও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। দিল্লির(Delhi) একাধিক থানায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা(Case) আছে।