কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati) ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে (Haimanti Ganguly) নিয়ে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। এবার তদন্তে উঠে এল বেহালার রামমোহন রায় রোড এলাকার একটি সংস্থার নাম। জানা গিয়েছে, উইনার্স জোন নামে গোপাল ও হৈমন্তীর ওই সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কিন্তু সেখানে কলকাতা টিভি প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখেন, নির্দিষ্ট ঠিকানায় কোনও অফিসই নেই। তবে ওই ঠিকানারই পাশের একটি ফ্ল্যাটে হৈমন্তী থাকত বলে জানায় স্থানীয়রা। প্রতিবেশীদের দাবি, ওই ফ্ল্যাটে গোপাল দলপতিরও আসা-যাওয়া ছিল। পাশাপাশি হৈমন্তীর সঙ্গে আরও দু-তিনজন মহিলা ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
এদিকে রামমোহন রায় রোডের ওই ঠিকানায় ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের একটি অফিস ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সংস্থার মালিকের নাম বিশ্বনাথ গাইন। যদিও তিনি এখন কর্মসূত্রে বাইরে রয়েছেন বলে ফোনে জানিয়েছেন। বিশ্বনাথের স্ত্রীর দাবি, গোপাল দলপতি তাঁদের সংস্থা থেকে টিকিট কাটতে আসতেন। সেই সূত্রেই গোপালের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁদের। বিশ্বনাথের স্ত্রী বলেন, আমাদের ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের ব্যবসা আরও বাড়ানোর জন্য আগ্রহ দেখান গোপাল দলপতি। কিন্তু এক বছর আগে রেজিস্ট্রেশন হলেও সেই সংস্থা এখনও চালু হয়নি। এমনকী কোনও টাকা গোপাল দলপতি বিশ্বনাথকে দেননি বলে দাবি করেন বিশ্বনাথের স্ত্রী।
আরও পড়ুন:Haimanti Gangopadhya Black Money: বিনোদন জগতের অখ্যাত নায়িকারাই কী কালো টাকা রাখার ‘সেফ জোন’!
এ সবের মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গোপালের খোঁজ চালাচ্ছিল, তাঁর খোঁজ করছিল সংবাদমাধ্যমও। শনিবার অপ্রত্যাশিত দিল্লিতে খোঁজ মেলে গোপালের। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গোপাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ব্যক্তিগত কাজে আমি দিল্লিতে এসেছি। লোদি রোড থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বে আছি। ইডি, সিবিআই যদি ডাকে, তাদের সদর দফতরে গিয়ে হাজিরা দেব। কুন্তল ঘোষ তদন্তের অভিমূখ ঘোরানোর জন্য নানারকম কথা বলছেন।
প্রসঙ্গত, হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা ধৃত কুন্তল ঘোষকে জেরার সূত্রেই উঠে আসে গোপাল এবং হৈমন্তীর নাম। আদালতে যাওয়া আসার পথে একাধিকবার কুন্তল সাংবাদিকদের বলেন সব টাকা গোপাল আর হৈমন্তীর কাছে আছে। ওরাই সব জানে। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। কাউকে দিইনি। সিবিআইয়েরও অভিযোগ, কুন্তল অনেক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তদন্তকে ঘোরাতে চাইছে।