কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ। তাই স্কুলে আসতে পারছেন না। তাঁর বদলে স্কুলে ক্লাস করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকার স্বামী। এর প্রতিবাদে দেগঙ্গার খেঁজুরডাঙায় স্কুলে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। শুধু তাই নয়, অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে মিড ডে মিলের মান অত্যন্ত খারাপ। রক্ষণাবেক্ষণের কাজও ঠিকমতো হয় না। সোমবার প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা বিবির স্বামী সইদুল বিশ্বাস স্ত্রীর হয়ে প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন না। স্ত্রী মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি পড়ুয়াদের পড়াতে আসেন। এটা যে নিয়মবিরুদ্ধ, তাও মেনে নেন সইদুল। তবু কেন তিনি স্কুলে আসেন, জানতে চাওয়া হলে সদুত্তর মেলেনি।
সইদুল পেশায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা প্রায়ই স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। তাঁর বদলে সইদুল স্কুল চালান। সইদুল বলেন, এটা ঠিক নয়। স্ত্রী নিয়মিতই আসেন। মাঝেমধ্যে পা ব্যথা থাকলে স্কুলে আসতে পারেন না। যেমন সোমবার আসেননি। আমি ভাবলাম, স্কুলটা ফাঁকা থাকবে? মিড ডে মিল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই চলে এলাম। তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, আমি কখনও কখনও আসি। রোজ আসি না। অভিভাবকরা মিথ্যে কথা বলছে। আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। এভাবে প্রধান শিক্ষিকার বদলে তাঁর স্বামী স্কুল চালাতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডিআই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, তারা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবে। এই ঘটনা ঘিরে এদিন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।