ভোপাল: ৯২ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ৪২ বছরের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার মধ্যপ্রদেশের শাহদোল (Shahdol District) জেলায়। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাঁকে মোটরসাইকেলে (Motorcycle) করে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। অভিযুক্তকে গতকাল সন্ধ্যাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ভগবন্ত কোল (Bhagwanta Kol) নামে ওই অভিযুক্তকে সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) দেখার পর সনাক্ত করা হয় সাইবার পুলিশের (Cyber Police) সহযোগিতায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১২ জানুয়ারি ওই বৃদ্ধা শাহদোল রেল স্টেশনে (Rail Station) ট্রেনে (Train) করে এসে পৌঁছেছিলেন। ট্রেন লেট করায় রাত হয়ে গিয়েছিল। তাই পরদিন সকাল হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অপেক্ষা করেন। পরদিন পাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য অটোরিক্সাতে (Auto-Rickshaw) ওঠেন। কিন্তু তাঁকে অটোচালক গন্তব্যে না পৌঁছে দিয়ে আগেই নামিয়ে দেয় এবং অন্য অটো ধরার কথা বলে। বৃদ্ধা অন্য অটো আসার অপেক্ষায় একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় অভিযুক্ত ভগবন্ত কোল বাইকে করে যাচ্ছিল, সে গাড়ি থামিয়ে বৃদ্ধা কোথায় যাবেন জানতে চায় এবং গন্তব্যস্থলে ছেড়ে দিয়ে আসবে বলে জানায়।
ধর্ষণের শিকার ওই বৃদ্ধা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাঁকে বাইকে করে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায়, তিনি রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। মাঝবয়সী ওই ব্যক্তির কুমতলব রয়েছে, তেমন কোনও সন্দেহ হয়নি তাঁর। এমনকি, সাহায্য করার জন্য বৃদ্ধা ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন অভিযুক্তকে। এরপর, বৃদ্ধাকে বাইকে তুলে সঠিক পথে কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পর বাইক ঘুরিয়ে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় এবং সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করে সে। ধর্ষণ করার পর বৃদ্ধাকে ফের বাইকে তোলে অভিযুক্ত, এরপর বড় রাস্তায় নিয়ে এসে আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে চম্পট দেয়।
ধর্ষিতা বৃদ্ধা এরপর এক পথচলতি ব্যক্তির সহযোগিতায় তাঁর আত্মীয়কে (Kin) ফোন করেন। খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি এসে পৌঁছায় এবং বৃদ্ধাকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যায়। হাসপাতালের বেডে শুয়েই পুলিশকে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন এবং ধর্ষণকারীকে সাজা দেওয়ানোর অঙ্গীকার করেছেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর শাহদোলের পুলিশ সুপার একাধিক দল গঠন করেন অভিযুক্তকে পাকড়াও করার জন্য। সাইবার সেলের (Cyber Cell) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট রাস্তা ও দোকানের একাধিক ফুটেজ খুঁটিয়ে দেওয়া হয়, এরপর ১২টিরও বেশি গ্রামে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে পুলিশ। জানা যায়, অভিযুক্ত অন্তরা গ্রামের বাসিন্দা। এরপর, পুলিশ (Police) তাকে গ্রেপ্তার করে এবং জেরায় কুকীর্তির কথা স্বীকারও করে নেয় সে।