নয়া দিল্লি: ঠান্ডার অনুভূতি বাড়তে শুরু করেছে। মাঠে আমন ধান তোলার সময়। এরপরেই খেত জুড়ে শুরু হবে সর্ষে (mustard) চাষ। তারই মধ্যে চাষীদের জন্য সুখবর। সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে তৈরি সর্ষের উচ্চ ফলনশীল নতুন প্রজাতি(genetically altered) আসতে চলেছে। যাতে ফসলে ২৮ শতাংশ উৎপাদন বাড়বে। ২০২৫ সালের আগেই এটি চাষীদের কাছে পৌঁছে যাবে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এটা তৈরি করেছেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, বিদেশ থেকে তেল কিনতে গিয়ে মাথায় হাত দিতে হওয়া ভারতকে স্বনির্ভর করবে এই সর্ষে। দিল্লি এই সংশোধিত সর্ষের বীজে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র ইতিমধ্যে দিয়েছে। একটি জাতীয়স্তরের সংস্থা সূত্রে বুধবার এই খবর জানা গিয়েছে।
আমাদের রান্নার তেলের বেশিরভাগ কিনতে হয় বিদেশ থেকে। ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল, ইউক্রেনের সূর্যমুখী, আর্জেন্তিনার সয়াবিন তেল কেনার জন্য ভারত বার্ষিক প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের আগেই ওই জিএমও সর্ষে চাষীদের হাতে চলে আসবে। এর আগে বিটি কটন একমাত্র ‘জেনেটিক্যালি অল্টারড’ শস্য ছিল। দু-দশক আগে এটা চালু করা হয়েছিল। সেসময় এই নিয়ে অনেকে বিরোধিতা করেছিলেন। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের মতো বেশ কিছু সংগঠন জিএমও-র বিরোধিতা করে আসছে। এটি শুধু ভারতীয় রান্নার তেলের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে তাই নয়, এটি কৃষকদের আরও বেশি করে স্বনির্ভর করবে।
আরও পড়ুন Chhattisgarh: নাবালকের কামড়ে মৃত্যু হল কোবরার
এই দেশের মতো এখানে রান্না করা তেলে ব্যবাহারেরও বৈচিত্র রয়েছে। দক্ষিণ ভারতে নারকেল তেলে বেশি রান্না হয়, পশ্চিম ভারতে বাদাম তেলের প্রচলন বেশি। কিন্তু, গত ২৫ বছর ধরে এই দেশে তেলের চাহিদা পূরণ হয় না। প্রায় ৭০ শতাংশ তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ভারত সয়াবিন তেলের বৃহত্তম আমদানিকারক। একইভাবে সূর্যমুখী তেল প্রায় ১০-১২ শতাংশ রান্নার জন্য দরকার হয়। কিন্তু, এখন তার উৎপাদন থমকে রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গল ধ্বংসের পর পাম অয়েলের দাম নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে সমস্যা বেড়েছে।