হুগলি: ভাইরাল একটি ফেসবুক পোস্ট৷ তার থেকেও ভাইরাল হয় এক বিজেপি নেতার কমেন্ট৷ বিদ্রোহের আগুনে জ্বলতে থাকা ওই বিজেপি কর্মী পার্টি অফিস ভেঙে ফেলার ডাক দেন৷ এই কমেন্ট ভালোভাবে নেয়নি হুগলি জেলার বিজেপি নেতৃত্ব৷ কর্মীর বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা৷ যদিও কেউ কেউ বলছেন, দলের অন্দরের ক্ষোভ ধামাচাপা দিতে দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে৷
ক’দিন ধরেই হুগলির সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভের আঁচ মালুম হচ্ছিল। মণ্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়৷ দু’দিন পরে ৩০টি মণ্ডল সভাপতিদের নাম পুনরায় ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার৷ এতেই নীচুতলায় ক্ষোভ চরমে ওঠে৷ বিজেপি কর্মীরা গণ ইস্তফার হুমকি দেন৷
সেই থেকে কর্মীদের নিশানায় জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ৷ তাঁদের অভিযোগ, নিজেদের লোককে মণ্ডল সভাপতি করেছেন তুষার মজুমদার এবং সুরেশ সাউ৷ বিদ্রোহ এখানেই থেমে থাকেনি৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে৷ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দলবিরোধী নানা রকম মন্তব্য করতে থাকেন৷ এক বিজেপি কর্মী ফেসবুকে লেখেন, ‘নেতা-নেত্রীর সুপারিশে দলের দায়িত্ব দেওয়া বন্ধ হোক৷ তবেই যোগ্য ব্যক্তিরা জায়গা পাবে৷ এই ঝামেলা বন্ধ হবে৷ দল কি এসব দেখছে? যদি উত্তর না হয়, তাহলে দলের কাজ না করে নেতা বা নেত্রীর পিছনে ঘুরলেই পদ পাওয়া যাবে৷’ ওই পোস্টে অভিজিৎ দে নামে এক কর্মী কমেন্ট করেন৷ লেখেন, ‘পার্টি অফিস ভেঙে ফেলো সবাই মিলে৷ তার সঙ্গে টাকলুটা মেন ভিলেন৷’
এই পোস্ট ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব৷ ক্ষোভের আগুন বাড়তে পারে আঁচ করেই তড়িঘড়ি চুঁচুড়া থানায় ওই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি৷ এ প্রসঙ্গে জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘আসলে ভোটের সময় অনেক বেনোজল বিজেপিতে ঢুকেছে৷ তারাই এখন এসব করছে৷ আমরা চাই পুলিশ ব্যবস্থা নিক৷’
এ দিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ দে ফোনে বলেন, ‘দলের বিষয় বাইরে কিছু বলব না৷ আবেগপ্রবণ হয়ে কিছু কথা লিখে ফেলেছিলাম৷ জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে৷ বিষয়টি মিটিয়ে নেব৷’