কলকাতা টিভিতে হানার জন্য দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ৫৫০ জনের বিশাল বাহিনীকে। তার মধ্যে ছিলেন আয়কর দফতরের অনেক শীর্ষ অফিসারও। এই অভিযানের জন্য সারা দেশে খোলা হয়েছিল তিনটি কন্ট্রোল রুম। সার্চিং অপারেশনে নিযুক্ত ছিলেন ৩৫০ জন। বাকিরা ছিলেন ওই তিনটি কন্ট্রোল রুমে। আয়কর দফতরের এই অফিসারদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ৩৫০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে।
দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের দফতর ছাড়াও কলকাতার ৯টি জায়গায় মঙ্গলবার সকাল থেকে একযোগে হানা চলে। কলকাতার হানা শেষ হয় শুক্রবার দুপুরে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কলকাতা টিভিকে বাগে আনার জন্যই দিল্লিতে বসে গোটা পরিকল্পনার করা হয়েছিল কি না? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই মিলবে না। কিন্তু নিট ফল দাঁড়িয়েছে শূন্য। ফলে হতাশ আয়কর দফতর, হতাশ আরও অনেকেই!
কলকাতা টিভির প্রধান অফিস থেকে মোট ১০ লক্ষ ২৯ হাজার ২০ টাকা পান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। এর মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৯ লক্ষ টাকা। বাকি ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২০ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কলকাতা টিভির সম্পাদক কৌস্তুভ রায়ের বাড়ি থেকে মোট ১০ লক্ষ ৬২ হাজার ৪০০ টাকা পান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। এর মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৯ লক্ষ টাকা। বাকি ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪০০ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কলকাতা টিভির ডিরেক্টরদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর। সব জায়গা থেকেই শূন্য হাতে ফিরতে হয় তাদের। (কলকাতা টিভির হিসেব অনুযায়ী বিভিন্ন সময় ব্যাঙ্ক থেকে তোলা অর্থের মোট অঙ্কই ৯ লক্ষ। চ্যানেলে হঠাৎ কোনও টেকনিক্যাল সমস্যা বা কোনও যন্ত্রাংশের সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্যই এই নগদ অর্থ সব সময় রাখা হয়)।