নয়াদিল্লি: চীনকে (China) পিছনে ফেলতে চলেছে ভারত (India)। সামরিক শক্তিতে কিংবা অর্থনীতিতে নয়, জনসংখ্যায় (Population)। এ বছরের জুনেই বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হবে বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ (Most Populous Country in the World)। ২ কোটি ৯০ লক্ষ জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে চীনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। ভারতের জনসংখ্যা পৌঁছবে ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষে। অপরদিকে চীনের জনসংখ্যা হবে ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক পরিসংখ্যান এই তথ্য জানিয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত, এই বছরের মাঝেই।
ভারত ও চীনের পর তৃতীয় স্থানে আমেরিকা (US) থাকলেও বহু দূরে তাদের স্থান। মাত্র ৩৪ কোটির জনসংখ্যা। বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘ জনসংখ্যা ফান্ড (UNFPA) বিশ্ব জনসংখ্যার এই হিসেব দিয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে আটটি দেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ থাকবে। কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স এবং তানজানিয়া। তবে জনসংখ্যা বিশারদদের মতে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের আগের ডেটা অনুযায়ী জুন নয়, এমাসেই ভারত ছাপিয়ে যাবে চীনকে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা বিশারদরাও এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট দিন ধার্য করেননি, কিংবা অনুমানের কথাও জানাননি। কারণ ভারতের শেষবার জনসুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে। ২০২১ সালে হওয়ার কথা থাকলেও কোভিডের কারণে জনসুমারি স্থগিত হয়ে যায়। এমনিতেই চীন ও ভারত পৃথিবীর জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বহন করে।
গতবছরই ৬ দশকের মধ্যে প্রথম চীনের জনসংখ্যা কমে। দেশের সরকারি কঠোর সরকারি নীতির কারণেই কয়েক দশক পর চীন ধীরে ধীরে জনসংখ্যা কমানোর পথে হেঁটেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ভারতের বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার গড়ে ১.২ শতাংশ। তার আগের ১০ বছরে যা ছিল ১.৭ শতাংশ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হচ্ছে ০-১৪ বছর। ১০-১৯ বছরের মধ্যে ১৮ শতাংশ, ১০-২৪ বছর ২৬ শতাংশ, ৬৮ শতাংশ হচ্ছে ১৫-৬৫ বছরের মধ্যে। ৬৫ বছরের উপরে রয়েছে ৭ শতাংশ।