কলকাতা: পুলিশের (Police) ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত। সিভিল কোর্টের নির্দেশ না মানায় পুলিশের উপর বিরক্ত হাইকোর্ট। কী হচ্ছে এটা? ছেলেখেলা? প্রতি তিনটে মামলায় একটা করে পুলিশের নির্দেশ না মানার অভিযোগ। দিনের পর দিন এই ভাবে চলবে? এটা বিচার দেওয়ার পথে অন্তরায়। ঠিক এই ভাষাতেই পুলিশকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court Justice Rajasekhar Mantha)। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি।
বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, এমনটা চলতে থাকলে পুলিশের বিরুদ্ধে করা পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে হাইকোর্ট। ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, প্রতিদিন একই অভিযোগ আসছে বিভিন্ন জেলার থানার বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশকে পুলিশ কোনও পরোয়াই করে না। বিচারপতি মান্থার বক্তব্য, বিচার দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের এই নির্দেশ না মানার মতো প্রবণতা একটা বড় বাধা।
আরও পড়ুন:Calcutta High Court | আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় পুলিশকে হুঁশিয়ারি বিচারপতির
আদালত পুলিশের এই ঔদ্ধত্য বরদাস্ত করবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে প্রতিটি জেলার এসপিকে সতর্ক করতে হবে। কোনও থানা যদি কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে, তাহলে সেই অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ক্যানিং থানার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে উঠেছে। বারুইপুরের এসপিকে আইসি-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মিছিলের ক্ষেত্রে একটি মামলাতেও পুলিশকে তোপ দেগেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ সরকারি কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন। এদিন আদালতে মান্থা রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা (DA) চেয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাইলে অসুবিধা কোথায়? কোনও বিষয়ে বিরোধিতা করা বা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা জনসাধারণের মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights)। স্কুল, কলেজ, বাজার, অফিস আছে বলে মিছিলের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করা যায় না। আন্দোলনকারীরা তো তাঁদের অসুবিধের কথা তুলে ধরতে চাইবেনই। এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তো আন্দোলন করতে বারণ করেনি। কেন আদালতকে বারবার হস্তক্ষেপ করতে হবে?