শিক্ষা দুর্নীতির তদন্তের অভিমুখ কী অন্যদিকে যাচ্ছে, প্রশ্ন তুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি (Justice) বলেন, সিবিআই আদালতে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তার থেকে আনেক নাম সামনে আসছে। এখন ছয়জন জেলে আছেন। তাঁরা তদন্তে কতটা সহযোগিতা করছেন, জানি না। তাঁর দাবি, এই ঘটনার পিছনে যে আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি আছেন, রিপোর্ট থেকে তা পরিষ্কার। তিনি বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও সিবিআইকে (CBI) উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিচারপতি বলেন, এখন আবার অনেকের মুখ থেকে নতুন কথামৃত শোনা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, যেটা ঠিক, সেটা ঠিক। যেটা ভুল, সেটা ভুল। আমার তো মনে হয়, যাঁরা এ সব কথা বলছেন, তাঁরাও এর পিছনে আছেন। তাঁদের খুঁজে বার করে সিবিআইকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেই হবে।
আরও পড়ুন: Corona Situation: কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের ছেষট্টি শতাংশ স্কুলে ইন্টারনেট ছিল না
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসএসসিতে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে বলে, আদালতকে ওই আবেদনকারীদের কথা শুনতে হবে। সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি এদিন বলেন, আবেদন জমা পড়লে আমি প্রতিদিন বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তাঁদের মামলা শুনব। আমি দ্রুততার সঙ্গে মামলার মীমাংসা করতে চাই। তিনি জানান, চাকরি বাতিল নিয়ে কবে আবেদন জমা দিতে হবে, সে ব্যাপারে ২৫ নভেম্বর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিন প্রাথমিকের নিয়োগ মামলারও শুনানি হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য়ের আইনজীবী জানান, তিনি এখন জেলে আছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনে ১৮ নভেম্বর তিনি হলফনামা জমা দেবেন। আদালতের নির্দেশ, সিবিআইকে মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই রিপোর্টে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে আর কোনও গুরুত্বপূর্ণ বা প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম আছে কি না, তা আদালতকে জানাতে হবে। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা যোগ্য, তাই চাকরি চাইছেন। এটা অন্যায় আবদার নয়। এটা তাঁদের ন্যায্য পাওনা। শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলন নিয়ে এত কিছু বললেন, কিন্তু পুলিশি অত্যাচার নিয়ে কিছু বললেন না।
এদিন ২০০৯ সালের বেআইনি নিয়োগের প্রসঙ্গও ওঠে। পর্ষদের আইনজীবী বলেন, ওই নিয়োগ নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। বিচারপতি বলেন, দরকার হলে আমি সেই সময়কার সভাপতিকে ডেকে পাঠিয়ে সিবিআই স্ক্যানারে ফেলব। সমস্ত দুর্নীতি সামনে আসা উচিত।