কলকাতা: এজলাসে ক্ষমা চাইতে এসে কড়া ধমক খেলেন এক শিক্ষক (Teacher)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) তাঁকে বললেন, গেট আউট। প্রাথমিকের টেট (Primary TET) পরীক্ষার সময় চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitude Test) নেওয়া হয়নি বলে আদালতে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে মামলা হয়। সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে আলাদা করে ইন্টারভিউয়ারদের (Interviewer) সঙ্গে কথা বলবেন। সেইমতো বিচারপতি সম্প্রতি ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারের সঙ্গে কথা বলেন। সেদিন সব ইন্টারভিউয়ারই স্বীকার করেন, প্রার্থীদের অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। দু-একজন বলেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট কী, তাও তাঁরা জানেন না।
আদালত সূত্রের খবর, সেদিন এক শিক্ষক তথা ইন্টারভিউয়ার রুদ্ধদ্বার শুনানির সময় বিচারপতিকে বলেন, আমি ইংরেজি জানি না। বাংলায় কথা বলব। ওই শুনানিতে শিক্ষকটির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। শুক্রবার ওই শিক্ষক এজলাসে এসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে যান। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রেগে গিয়ে তাঁকে বলেন, গেট আউট। এই মুহূর্তে বেরিয়ে যান এজলাস থেকে। না হলে শেরিফ ডেকে গ্রেফতার করিয়ে দেব আপনাকে। আপনি শিক্ষকতা করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আজই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে কথা বলব। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। অথচ বলছেন, ইংরেজি নয়, বাংলায় কথা বলবেন।
এদিকে ৪২ হাজার ৫০০ জনকে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়ে কেন নিয়োগ করা হল, তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, এখানেই তো গোলমাল।
আরও পড়ুন: National Highway: বাংলার সড়ক ধরেই ভোটের অঙ্ক কষছে কেন্দ্র?
অভিযোগ, ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়। তাঁদের তিন থেকে চার নম্বর বাড়তি দেওয়া হয়েছে। এই পাশ করা প্রার্থীরাই চাকরি পান। এই চাকরিপ্রাপকদের মধ্য থেকে ৩৮ জনকে এদিন ডাকা হয়। তার মধ্যে ৩০ জন এসেছিলেন। তাঁরা চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত নথি জমা দেন। ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জনই জানান, কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি। তাঁদের শুধু ইন্টারভিউ নেওয়া হয় দশ নম্বরের।