কালনা: কলেজের মিটিংয়ে পরিচালন সমিতির সেসময়ের সভাপতি আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam) এক শিক্ষিকাকে (Teascher) জগ ছুঁড়ে মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার পুরসভার আভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে এক কাউন্সিলর আরেক কাউন্সিলরকে (Councillor) কাপ ছুঁড়ে মারল। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তা আবার লাগল অন্য এক কাউন্সিলরকে। যার জেরে দাঁত ভেঙে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি আহত ওই কাউন্সিলর। বুধবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার কালনা পুরসভায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আহত কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জীকে (Rabindranath Chatterjee) ভর্তি করা হয়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী ওই ঘটনায় কালনা-কাটোয়া রোড (Kalna Katwa Road) টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়েছে প্রশাসনে ও জেলা রাজনীতিতে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কালনা পুরসভার বোর্ড মিটিং ছিল। অনেক দিন ধরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাস (Tapas Das) অভিযোগ করছিলেন, তাঁর এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই। বারবার বলা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিল বসু (Anil Basu) তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না। অভিযোগ, এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের কথাও গুরুত্ব দেননি অনিল বসু। এরপর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কয়েকদিন আগে ইমেল মারফত মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানান। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: Custodial death in Bogtui Case: লালান-কাণ্ডের তদন্তে সিআইডি, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
বোর্ড মিটিং শুরু হতেই এদিন অনিল বসুর সঙ্গে তাপস দাসের বিতণ্ডা শুরু হয়। ঘটনায় অনিল বসু ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপসকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে মারতে যায়। সবাই ধরে ফেললেও হাতের কাছে থাকা কাপ ছুঁড়ে মারে তাপস দাসকে লক্ষ্য করে। কিন্তু, সেই কাপ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে লাগে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথবাবুর মুখে। ঘটনাস্থলে রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জির একটি দাঁত পড়ে যায়। আরেকটি দাঁত ভেঙে রক্ত বেরোতে থাকে। তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হকচিকেয় যান। এরপর তড়িঘড়ি কাউন্সিলররা রবীন্দ্রনাথবাবুকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এর আগেও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিল বসুর নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কখনো চেয়ারম্যানকে (Chairman) লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়তে উদ্যোগী হয়েছে সে। কখনও মন্ত্রীর সামনে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাস এখন আতঙ্কিত হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন।