কলকাতা: এবার থেকে পুরানো ভাঙা অব্যবহৃত ইলেকট্রনিক (Electronic) সরঞ্জাম আর যত্রতত্র ফেলা যাবে না। সেগুলি ফেলতে হবে একটি ড্রপ বক্সে (E-Waste) । সেখান থেকে সেগুলি সংগ্রহ করবেন পুরকর্মীরা, তাঁদের সাহায্য করবেন লায়ন্স ক্লাব। সেই বর্জ্যগুলি পরবর্তীকালে রিসাইকেল (Recycle) করার জন্য পাঠানো হবে ভিন রাজ্যে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। শনিবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলে, আপাতত ১, ৯ এবং ১৬ নম্বর বরোতে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। ওই বরো গুলিতে নির্দিষ্ট জায়গায় বড় ধরনের ড্রপ বাক্স রাখা হবে। নাগরিকরা সেখানেই ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য ( E-Waste) ফেলতে পারবেন। বাতিল মোবাইল, কম্পিউটার মনিটর, প্রিন্টারের মতো ই-বর্জ্য ফেলা যাবে সেই ড্রপ বক্সে।
সমীক্ষা অনুযায়ী ই-বর্জ্য জনিত দূষণের নিরিখে পৃথিবীতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এক নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পোর্টালে সব রাজ্যকে ই- বর্জ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আপলোড করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকা মাথায় রেখেই কলকাতা পুরসভা ই-বর্জ্য ফেলার জন্য নয়া ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পরিত্যক্ত বা অব্যবহৃত মোবাইল মাটিতে মিশে যায়না। কেউ কেউ আবার সেগুলি পোড়ানোর চেষ্টা করেন। যার ফলে একটি দূষিত গ্যাস উৎপন্ন হয়, সেই গ্যাস মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করলে তা জটিল রোগ সৃষ্টি করে। এছাড়াও জলে ফেলে দিলে সে ক্ষেত্রেও জলজ প্রাণিদের ক্ষতি হয়।
সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশে ই-বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ৩২ লক্ষ টন। সে জায়গায় দেশে মোট ৫৩০ টি ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের সম্মিলিত ক্ষমতা প্রায় ১৫ লক্ষ টন। ফলে অর্ধেকের বেশি ই-বর্জ্য থেকে যাচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের বাইরে। তা থেকে যেমন দূষণ ছড়ায়, তেমনি পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়।