মেদিনীপুরের সমস্ত পুরসভার সমন্বয়ের দায়িত্ব পেলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এছাড়াও যে সমবায় সমিতিগুলিতে নির্বাচন হবে সেখানেও দেখভালের দায়িত্বে এলেন তিনি। অর্থাৎ এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাকের ডগায় ছড়ি ঘোরাবেন কুণাল। সম্প্রতি কোলাঘাটের একটি সমবায়ে বাম-কংগ্রেস জোট জয়লাভ করেছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে ঘাসফুল শিবির। মঙ্গলবার থেকেই কাজে নেমে পড়েছেন কুণাল।
জানা গিয়েছে, দলের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা এবং ব্লক স্তরে সমন্বয় ঘটানোর কাজ করবেন কুণাল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কাঁথি, তমলুক, হলদিয়ার মতো এলাকাগুলিতে কাজ করা শুরুও করেছেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন এক সময় নিজে হাতে সামলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্যে কিছুটা হলেও ভাগ বসিয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে কোলাঘাটের একটি সমবায় বাম-কংগ্রেস জোটের হাতে চলে যাওয়ায় পদক্ষেপ করতে আর দেরি করেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুণাল ঘোষকে।
আরও পড়ুন: Morbi killing: অন্তত ১০ বছর মোরবি সেতু নিরাপদ থাকবে, জানিয়েছিল ঠিকাদার সংস্থা
এ নিয়ে মুখপাত্র বলেন, হলদিয়া সহ কিছু জায়গায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে আমাকে। আমি সেটাই করব।
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাঞ্চল্যকর ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এ নিয়ে কথার লড়াই চলল কুণাল ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে। শুভেন্দু বলেন, সিএএ প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে। একযাত্রায় পৃথক ফল হবে না। বাংলাতেও এবার সিএএ চালু হবে। মতুয়া, নমশূদ্ররা নাগরিকত্ব পাবেন। পাল্টা কুণাল বলেন, মতুয়ারা এখানকার ভোটার। নাগরিকত্বের সমস্ত নথি আছে তাঁদের কাছে। নতুন করে আর কী সুবিধা পাবেন? কুণালের দাবি, গুজরাতের মর্মান্তিক সেতু দুর্ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই এসব করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।