উগান্ডার কাম্পালা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (Kampala International University) সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার নার্স ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের মহিলারা গর্ভবতী হয়েছেন কি না বাধ্যতামূলকভাবে তা পরীক্ষা করতে হবে। এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। গর্ভবতী হয়েছেন কি না তা পরীক্ষা না করালে নার্সিং কিংবা ধাত্রীবিদ্যা স্তরের বার্ষিক পরীক্ষাতে বসতেই দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) এই নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করেছেন আইনজীবীরা। এই নির্দেশ প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে অনড়। গর্ভবতী হয়েছেন কি না তা পরীক্ষা করানোর জন্য গাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে। এ জন্যে মাথাপিছু খরচ পড়বে উগান্ডার হিসেবে ৫ হাজার সিলিং। মার্কিন মুদ্রায় যা এক দশমিক ৩০ ডলার।
কাম্পালা বিশ্ববিদ্যালয় (Kampala International University) এই নির্দেশ জারি করেছে গত ৮ অক্টোবর। এরপর বিষয়টি নিয়ে চলছে প্রতিবাদ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতেও (National Assembly) প্রসঙ্গটি উঠেছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির তরফে ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে উগান্ডায় কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের নির্দেশিকা জারি করেনি। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধ্যক্ষ সারা ওপেনডি বলেছেন, কাম্পালা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের নির্দেশিকার তীব্র বিরোধিতা করছি। কোনওমতেই এই নির্দেশ সমর্থনযোগ্য নয়।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও স্বীকার করেননি কেন এ ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হল। মহিলা অধিকার রক্ষা কর্মীরাও বিষয়টা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল। প্রসঙ্গত, কাম্পালা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (Campala International University) জারি করা ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, মন দিয়ে লেখাপড়া করতে যাতে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়।