কলকাতা: জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী শতরুপা (Shatarupa) এবং ছেলে সৌভিকের (Sauvik) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল নগর দায়রা আদালত। দুজনকেই ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Court)। মঙ্গলবার ওই দুজনের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। তার শুনানিও চলে। কিন্তু রায় দেন স্থগিত রাখা হয়েছিল। একইসঙ্গে ওই দিন মানিককেও আদালতে হাজির করা হয়েছিল। জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত মানিককে ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। বুধবার মানিকের স্ত্রী এবং ছেলেকেও ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিল আদালত।
মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি বিদেশ ভ্রমণ (Foreign Tour) করেছেন দুর্নীতির (Corruption) টাকায়। তিনি সবটা জানতেন। বিদেশ ভ্রমণের টাকা কোথা থেকে এল তার কোনও নথি তিনি দেখাতে পারেননি। আদালতে মঙ্গলবারই ইডি দাবি করে, মানিক ভট্টাচার্য সপরিবার প্রায় গোটা পৃথিবী Igjs ফেলেছেন। এত টাকা কোথা থেকে এল তার কোনও সদুত্তর তারা দিতে পারেননি। ইডির (ED) আরও দাবি, শতরুপা এবং শৌভিকে্র অ্যাকাউন্টেও বিপুল পরিমাণ টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। মানিকের মতোই তাদের দুজনেরও একাধিক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। এমনকী মৃত ব্যক্তির সঙ্গেও শতরূপার জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট হোল্ডার যে আগেই মারা গিয়েছেন, আদালতে সেকথা জানানোও হয়নি।
আরও পড়ুন: Sharad Pawar | বিরোধীদের জরুরি বৈঠক ডাকলেন পাওয়ার, তৃণমূল কি আমন্ত্রণ পেল?
মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতে বিচারকের কড়া ধমক খান মানিক। তিনি আদালতে একতারা কাগজ নিয়ে এসেছিলেন। আইনজীবী থাকা সত্ত্বেও মানিক বিচারককে বলেন, আমার কিছু বলার আছে। বিচারক মানিকের আইনজীবীকে বলেন, আপনার মক্কেল নাকি আইন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি এটুকুও জানেন না যে, আইনজীবী থাকলে মক্কেল কিছু বলতে পারেন না। তার মধ্যেই মানিক সংবিধানে নাগরিক অধিকার নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন। বিচারক ফের তার আইনজীবীকে বলেন, এই আদালত এসব বলার জায়গা নয়। আপনার মক্কেলকে হাইকোর্টে যেতে বলুন।
আদালতে ইডি আগেই জানিয়েছিল মানিকের ছেলের একটি সংস্থার মাধ্যমে অনেক নিয়োগ কেলেঙ্কারি হয়েছে। তার অ্যাকাউন্টে ২ কোটির উপর টাকা রয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এল তার কোনও ব্যাখ্যা সৌভিক দিতে পারেননি। শতরুপা এবং সৌভিকের আইনজীবী দাবি করেন, তারা দুজনেই তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। যখনই ডাকা হয়েছে, তখনই তারা হাজিরা দিয়েছেন।