কলকাতা: অপেক্ষার দিন গোনা শেষ। নববর্ষের আগেই গঙ্গার (Ganga) নীচে মেট্রোর ট্রায়াল রান (Metro Trial Run) সম্পন্ন হবে। মাটির নীচ দিয়ে ট্রেন ছোটার কথা শুনে জনসাধারণের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছিল, এবার তা গঙ্গাকেও হার মানাল। রবিবার দুপুরে ব্যাটারিচালিত গাড়ি দিয়ে ঠেলে দুটি রেক সেন্ট্রাল পার্ক (Central Park) থেকে এসপ্ল্যানেডে (Esplanade) নিয়ে আসা হয়। সূত্রে খবর, সেখানে সিগন্যাল ও আরও সামান্য কিছু বাকি রয়েছে, তা শেষ হোলেই দু’একদিনের মধ্যেই রেক দুটিকে হাওড়া ময়দানের উদ্দেশে গঙ্গার তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাকাপাকি ভাবে গঙ্গার নিচ দিয়ে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রো ছুটবে।
দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম মেট্রো রেল চলেছিল তিলোত্তমা শহরে। এবার দেশে প্রথম জলের তলায় মেট্রোটি (Metro) এখানেই ছুটতে চলেছে, মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ল, তা হল হাওড়া মেট্রো স্টেশন দেশের সবচেয়ে গভীরতম মেট্রো স্টেশন হতে চলেছে। জলের নীচে জোড়া মেট্রো টানেল গুলো ৫২০ মিটার গভীরতায় তৈরি করা হয়েছে। যা মাটি থেকে ৩৩ মিটার গভীরে।
আরও পড়ুন:Weather Forecast | গরমের দাপুটে ব্যাটিং, তিলোত্তমা ৪০ ছুঁতে পারে
উল্লেখ্য, ১৯২১ সালে গঙ্গার পশ্চিমে হাওড়ার সঙ্গে পুবের ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের যোগাযোগ স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়। লন্ডনের মতো টিউব রেল বা মেট্রোর কথা ভাবা হয়, যা গঙ্গার নিচের সুড়ঙ্গ দিয়ে ছুটবে। বাগমারি থেকে হাওড়ার শালকিয়া পর্যন্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা হয়। তৎকালীন টিউব রেলের অন্যতম বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার হার্লে হিউ ডালরিম্পল-এর ওপর বিষয়টির ভার পড়ল। নদীর গতিপ্রকৃতি সমস্ত কিছু দক্ষ হাতে সামলেছিলেন ডালরিম্পল। তবে বিপুল খরচ বহন করতে না পারায় ১৯২৩ সালে কাজটি থেমে যায়। বন্ধ হয়ে যায় ব্রিটিশ ভারতের ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প।
এরপর পেরিয়ে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। তবে এবার সব বাঁধা পেরিয়ে আর কিছু দিনে তা সফল হতে চলছে বলে আশা করা যাচ্ছে।