নয়াদিল্লি: গুজরাত (Gujarat), হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) বিধানসভা এবং দিল্লি পুরভোটের (MCD Poll) ফলাফলের মুখেই আগামী ৭ ডিসেম্বর, বুধবার শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session of Parliament)। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটের ফল নিয়ে সংসদে ঝড় ওঠা ছাড়াও এই অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকার ১৬টি বিল আনতে চলেছে।
উল্লেখযোগ্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপ রাষ্ট্রপতি (Vice President Jagdeep Dhankar) হওয়ার পর এই প্রথম রাজ্যসভার চেয়ারম্যান (Chairman of Rajya Sabha) পদ অলঙ্কৃত করবেন। রীতি অনুযায়ী, অধিবেশনের প্রথম দিন সমাজবাদী পার্টির অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব সহ (Mulayam Singh Yadav) অন্যান্য প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধার জানিয়ে সভা মুলতুবি হবে। এবারের শীতকালীন অধিবেশনে মোট ১৭টি কাজের দিন থাকছে।
আরও পড়ুন: Delhi Civic Poll: সকাল থেকে চলছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোট, লড়াই ত্রিমুখী
আসন্ন শীত অধিবেশন মূলত উত্তপ্ত হয়ে উঠবে তিনটি ভোটের ফলাফল নিয়ে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কর্নাটক, কেরল, মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়েও বাগযুদ্ধে অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এসবের মধ্যে ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সম্ভবত শীত অধিবেশনে গরহাজির থাকতে পারেন। বেশ কিছুদিন আগেই দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। এই বিষয়টি নিয়েও কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে শাসকদল।
শীত অধিবেশনে কেন্দ্র নিয়ে আসতে চলেছে ট্রেড মার্কস সংশোধনী বিল, ২০২২, দি জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস অফ গুডস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রটেকশন) সংশোধনী বিল, ২০২২ এবং রিপিলিং অ্যান্ড অ্যামেন্ডিং বিল, ২০২২। ট্রেড মার্কস বিলটি হল কোনও সংস্থা বা কোম্পানি এক জায়গা থেকে তাদের উৎপন্ন দ্রব্যের ট্রেড মার্কের জন্য রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে। জিআই সংশোধনী বিলে আগের নিয়মকানুনই আরও সরল করা হবে। যাতে আরও অনেক দাবিদার জিআই আইন্ডেটিটিফিকেশনের জন্য আবেদন জানাতে পারে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এর আগে বলেছিলেন যে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন বহু জিনিস আছে, যেগুলি সেখানকার বিশেষত্ব। সেগুলিকে বিশ্বের দরবারে হাজির করাতে হবে। তিনি স্লোগান তুলেছিলেন, ভোকাল ফর লোকালের। এই বিলে সম্ভবত সেই প্রয়াসই করবে সরকার।
উত্তর-পূর্ব জল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিল, ২০২২ হল পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম সহ ব্রহ্মপুত্র-বরাক অববাহিকা অঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। যে সংস্থা তাবৎ এলাকার নদীপথ ও জলবণ্টন নিয়ে কাজ করবে। রিপিলিং অ্যান্ড অ্যামেন্ডিং বিল, ২০২২ হল অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রচলিত আইনের রহিতকরণ বিল। এছাড়াও এই অধিবেশনে আন্তঃরাজ্য সমবায় সমিতি সংশোধনী বিল, ২০২২ এবং জাতীয় দন্ত কমিশন বিল, ২০২২ আনা হবে।
সরকারের আরও লক্ষ্য হচ্ছে সমুদ্রপথে বহিরাগত বা বহিঃশত্রু মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি বিল। ২ বছর আগে এই বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল। তারপর থেকে তা বিদেশ মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশের জন্য পাঠানো হয়েছিল। চলতি বছরে সেই সুপারিশ জমা পড়েছে। এই বিলে সমুদ্রপথে পাচার বা অন্য কোনও অপরাধে জড়িত ব্যক্তি বা দুষ্কৃতীদের দেশের আইনে অভিযুক্ত করার সংস্থান থাকছে।