মুম্বই: বড় ধাক্কা (Major Blow) খেল শিবসেনার (Shiv Sena) উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শিবির। শুক্রবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) জানিয়ে দিল, শিবসেনা নাম এবং তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) গোষ্ঠী। তার মানে হল, বালাসাহেব ঠাকরে (Balasaheb Thackeray) প্রতিষ্ঠিত শিবসেনার নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে গেল বালাসাহেব-পুত্র উদ্ধব ঠাকরের। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এটা একটা বড় পরিবর্তন। এ ব্যাপারে উদ্ধবের কোনও প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ধব শিবিরের অন্যতম মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। আমরা আইনি পথে এর মোকাবিলা করব।
এদিন কমিশন তার ৭৮ পাতার রায়ে বলেছে, শিবসেনার বর্তমান গঠনতন্ত্র অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক। কোনও সাংগঠনিক নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে একটি গোষ্ঠীর লোকেদের নানা পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এই ধরনের দলীয় কাঠামো সাধারণ মানুষ এবং দলীয় কর্মীদের আস্থা অর্জন করতে পারে না। কমিশন আরও বলেছে, শিবসেনার ২০১৮ সালের গঠনতন্ত্র আজ পর্যন্ত তাদের কাছে পেশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: CPIM : দলীয় ঝান্ডার সঙ্গে মোটা ডান্ডা রাখার নিদান সেলিমের
গত বছর শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনার বহু বিধায়ক তখনকার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে শিবসেনা ছাড়েন। তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধবের সঙ্গে জনা ১২ বিধায়ক ছিলেন। তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন টানাপড়েন চলে। উদ্ধব শিন্ডের সঙ্গে মিটমাটেরও চেষ্টা করেছিলেন। শিন্ডের দাবি ছিল, উদ্ধবকে কংগ্রেসের (Congress) হাত ছেড়ে বিজেপির (BJP) ফুল ধরতে হবে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে আদালতের নির্দেশে আস্থা ভোট হয়। তাতে উদ্ধবের পরাজয় ঘটে। পরবর্তীকালে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)।