মুম্বই: মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে যে জল্পনা (Speculation) চলছে, তার সত্যতা খারিজ করে দিয়েছেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (Nationalist Congress Party – NCP) নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, এনিয়ে কোনও রকম বৈঠক হয়নি। তাঁর ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar, Former Maharashtra Deputy Chief Minister) রাজ্যের আগামী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং দলের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর পাশে আছেন বলে যে খবর রটেছে, সেকথাও নাকচ করে দিয়েছেন এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা। শরদ পাওয়ার এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যখন মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। জল্পনা শুধু মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়েই নয়। রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে, শিবসেনার মতো কি এনসিপি’ও ভেঙে দু’টকরো হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: Supreme Court | আতিক আহমেদ-আশরাফ হত্যাকাণ্ডের মামলা গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টে
মহারাষ্ট্রের রাজ্যরাজনীতিতে এখন টালমাটাল অবস্থা। রাজ্যে একসময় শেষ কথা বলা শিবসেনা আজ দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde), অপরদিকে উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে (Uddhav Balasaheb Thackeray)। একনাথ এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আর উদ্ধব এখন বিরোধী। শিবসেনা (Shiv Sena) বনাম শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) [Shiv Sena (Uddhav Balasaheb Thackeray – UBT)] দ্বন্দ্বে মহারাষ্ট্র এখন তোলপাড়। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠা ১৬ জন বিধায়ককে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বিধানসভায় অযোগ্য (Disqualify) ঘোষণা করতে পারে। খবর রটেছে, এই অবস্থায় রাজ্যে ক্ষমতায় শূন্যতা (Power Vacuum) তৈরি হবে। বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সেই শূন্যতাকেই পূরণ করতে চান এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। যদিও অজিত পাওয়ার নিজে বলেছেন, এই সব খবর ঠিক নয়। পুরোটাও ভুয়ো ব্যাপার।
যদিও ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party – BJP) এনিয়ে কোনও কিছু জানায়নি। সূত্রের খবর, বিজেপি দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে। তাদের আইনজ্ঞরা এই পরামর্শই দিয়েছেন। কারণ আদালত রায় দেওয়ার আগেই যদি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়ে যায়, তাহলে বিজেপির সম্ভাবনা অটুট থাকবে।
এই খবরও শোনা গিয়েছে, শরদ পাওয়ার এখন নিজের দলেই কোণঠাসা। তাঁর একসময়কার বিশ্বস্ত সঙ্গীরাও অজিত পাওয়ারকে সমর্থন দিতে রাজি। ৫৩ জনের মধ্যে ৪০ জন বিধায়ক সই করেছেন। সেই তালিকা নাকি যথাসময়ে পাঠানো হবে রাজ্যপালের কথা। এতসব জল্পনার মাধে নিশ্চুপ ছিলেন পাওয়ার। মঙ্গবার এবিষয়ে তিনি পুনে জেলার পুরন্দরে (Purandar Area, Pune Distrcit) সাংবাদিকদের বলেছেন, “মিডিয়ায় যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তা আমাদের মাথায় নেই।” তিনি আরও বলেছেন, “এই ধরনের আলোচনার কোনও গুরুত্ব নেই। প্রকাশিত রিপোর্টের কোনও অর্থ নেই। আমি এটা বলতে পারি, আমার সব এনসিপি সহকর্মীরা দলকে মজবুত করার জন্য ভাবনাচিন্তা করছে, এছাড়া আরও কোনও কিছু নেই কারও মাথায়।”