গলসি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় প্রকাশ্যে আসছে আদি ও নব্য তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে মারধর করে তাদেরই দলের অপর গোষ্ঠী। বর্তমান ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোলের ঘটনায় এক কর্মী জখম হওয়ার পরে দলের পুরনো কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপি ও সিপিএম থেকে পরে যারা তৃণমূলে এসেছে তারাই এই মারধর করেছে।
ওই ঘটনার পরই রবিবার সন্ধ্যায় গলসি ১ ব্লকে তৃণমূলের সভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীরা। পুরসা গ্রামে কর্মিসভা আয়োজন করেছিল ব্লক এসসি, ওবিসি সেল ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখানে অনেকে তৃণমূলে যোগদান করেন। সেই সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তাঁরা। তাতে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ছাত্র নেতা তাপস সোমকে থামিয়ে কর্মীদের শান্ত হওয়ার বার্তা দেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন Dengue: এবার ডেঙ্গি আক্রন্ত হয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতার
অভিযোগ, ওই ব্লকের ঘাগরা গ্রামের তৃণমূল কর্মী বকুল মোল্লাকে একা পেয়ে মারধর করে তাঁর হাত, পা ভেঙে দেয় দলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন। তার জেরে ছাত্র নেতা তাপস সোম বলেন, আমরা তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করি।বকুল মোল্লাকে তার দাম দিতে হল। আমাদেরও তার পাল্টা দিতে হবে। তিনি এখন বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি। যারা এই কাজ করেছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব, রাতের অন্ধকারে নয়, দিন কিংবা জায়গা বলুক বুঝিয়ে দেব। মনে রাখতে হবে আমরা আদি তৃণমূল, তোমরা নব্য তৃণমূল। প্রাক্তন ব্লক সভানেত্রী বর্ণা হালদার অন্য গোষ্ঠীর নেতাদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের এত টাকা আসছে কোথা থেকে? এই ব্যাপারে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন অবশ্য বলেন, আর ঝামেলা হবে না। দলীয় নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের উপর আমাদের আস্থা আছে।