নয়াদিল্লি: এক কোটি ৭৫ লক্ষের বেশি টুইটার (Twitter) ব্যবহারকারীর (Users) মতকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঘোষণা করলেন টুইটারের সিইও এলন মাস্ক? বিশ্বের (World) জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং (Microblogging) ওয়েবসাইট টুইটার বিপুল অর্থ দিয়ে কিনেছিলেন। তার কেন তিন মাসের মাথায় ঘোষণা করবেন তিনি পদত্যাগ করতে চান? সেই জল্পনার চেয়ে বুধবার সামনে এল নতুন বিতর্ক। যার মূলে রয়েছে এলন মাস্কের (Elon Mask) নতুন টুইট। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত কি না সেই বিষয়ে রবিবার সরাসরি ব্যবহারকারীদের কাছে ভোট চেয়েছিলেন। সেই ভোটে তাঁকে পদত্যাগ করতেই বেশি ব্যবহারকারী মত দিয়েছেন। বুধবার এলন মাস্ক টুইটে সাফ জানিয়ে দিলেন, যদি কোনও যথেষ্ট নির্বোধকে পান তবে তিনি পদত্যাগ করবেন। তারপর থেকে সফটওয়ার (Software) ও সার্ভার (Server) টিমের দায়িত্ব নিজের কাছে রাখবেন।-এটা আসলে তিনি কী বলতে চেয়েছেন তাই নিয়ে চর্চা চরমে উঠেছে।
I will resign as CEO as soon as I find someone foolish enough to take the job! After that, I will just run the software & servers teams.
— Elon Musk (@elonmusk) December 21, 2022
তিনি পদত্যাগের (Resign) কথা জানালেন, নাকি তাঁর বিরুদ্ধ মত পোষণকারীদের বিদ্রুপ করলেন। এরকম চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস আর কোনও প্রতিষ্ঠিত শীর্ষ সংস্থার কর্তা দেখাতে পারবেন না। তবে তিনি মাস্ক, ফলে কী করতে পারেন না সেটাই জানা নেই। চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দেওয়া মাস্কের চিরকালীন অভ্যাস। যে ভাবনা কারও মাথায় আসে না সেটাই তিনি করে দেখান। টুইটার কেনার পর সবার মধ্যে প্রবল উৎসাহ ছিল। মাস্কের দায়িত্বে যাচ্ছে ফলে সেখানে আরও বড় কিছু দেখা যেতে পারে। কিন্তু, দেখা গেল অনেক ব্যবহারকারীদের আশা ব্যর্থ করে দিয়ে টুইটারের পরিচালনা, নীতি নিয়ে তিনি কীরকম কাটাছেঁড়া করলেন। ঠিক সেভাবে বুধবার সকালে তাঁর টুইট নানা জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Taliban: নয়া ফরমান জারি, এবার আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে মেয়েদের পঠনপাঠন নিষিদ্ধ
তবে অনেকে এর এমন ব্যাখ্যাও করেছেন যে, টুইটারের (Twitter) সিইও-র (CEO) পদ ছাড়বেন ধনকুবের (Billionare) এলন মাস্ক (Elon Mask)। টুইটার ব্যহারকারীরা (Users) তাঁর বিরুদ্ধে ভোট (Vote) দিয়েছিলেন তাই স্বচ্ছতা (Transparency) বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত। কারণ, আগেই বলেছিলেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন
যার জেরে ব্যবহারকারীদের খারাপ লেগে থাকলে তিনি ক্ষমা চেয় নেবেন। তবে কবে তিনি ওই পদ (Post) থেকে সরে দাঁড়াছেন সেই বিষয়ে কোনও ঘোষণা করেননি। অক্টোবর মাসের পর থেকে টুইটারের মালিক (Owner) তিনি। তার পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় সিইও সহ উচ্চ পদাধিকারীদের। বহু কর্মী ছাঁটাই করা হয়। টুইটারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতির (Policy) পরিবর্তন করা হয়। প্রশ্ন তোলায় অনেক সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন মাস্ক।