কলকাতা: দাড়িভিট-কাণ্ডে (Darivit Case) এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। মৃতদের পরিবারের সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে ওই ঘটনার এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ বলেই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ, এমনটাই জানান বিচারপতি। ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও দিতে বলেছে আদালত।
২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আন্দোলনরত দুই ছাত্র তাপস বর্মন এবং রাজেশ সরকারের। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই দুই ছাত্রের। দুই পরিবারই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করে। পুলিশ অবশ্য তাদের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে। এরপরই সিবিআই তদন্ত চেয়ে দুই পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়।
উল্লেখ্য, এত দিন এই ঘটনার তদন্ত ভার ছিল সিআইডির কাঁধে। সিআইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল আদালত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে, সেখানে আদালতের প্রশ্ন এতদিন পরেও কেন সিআইডি শনাক্ত করতে পারল না কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে? তদন্ত প্রক্রিয়ায় এবার সিআইডির ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে হাইকোর্ট। ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। সেই মামলাতেই এনআইএ তদন্তের এই নির্দেশ আদালতের।
আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। টুইটে তিনি লেখেন, দাড়িভিটের দুই ছাত্রকে গুলি করে মমতার পুলিশ। হাইকোর্টের নিদের্শকে কুর্নিশ জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।