ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে বেঙ্গালুরুতে সরাসরি যে বিমান চলাচল করে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে অবতরণ করতে তা অন্তত ৯ ঘণ্টা সময় নেয়। যাত্রীদের প্রবল ভোগান্তিতে ফেলে লুফতহানসার একটি বিমান জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছতে সময় নিল টানা দু’দিন। সূত্রের খবর, লুফতহানসার ওই বিমানটি মাঝপথে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে সেখানে টানা ৩০ ঘণ্টারও বেশি আটকে ছিল।
সূত্রের খবর, বিমানে চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি কারণে মজুত থাকে অক্সিজেন সিলিন্ডার। সেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পাল্টানোর জন্য লুফতহানসার বিমানটি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে নেমেছিল। বিমানবন্দরে ওই বিমানটি টানা ৩০ ঘণ্টা আটকে থাকলেও যাত্রীদের থাকা-খাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকাতে বিমানে থাকা তিন শতাধিক যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন। ইস্তাম্বুলের বিমানবন্দর সংলগ্ন হোটেলে ওই সংখ্যক যাত্রী থাকার ব্যবস্থা না থাকাতে দুর্ভোগ বেড়েছে।
গোটা ঘটনার জন্য বিমান সংস্থা লুফতহানসাকেই দোষারোপ করেছেন বিমানযাত্রীরা। এই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন দু’বারের গ্র্যামি পুরস্কারপ্রাপ্ত রিকি কেজ। তিনি বলেন, ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে যথেচ্ছে আচরণ করা যায় এটা যেন ধরেই নিয়েছে লুফতহানসা। বিমানে যে ৩৮০জন যাত্রী ছিলেন তার ভিতর অধিকাংশই ভারতীয়। কোনও হোটেলে ওঁদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি সঙ্গে থাকা মালপত্রও টানা ৩১ ঘণ্টা যাত্রীদের হেফাজতে ছিল না।
যাত্রীদের এই অভিযোগের জবাবে লুফতহানসার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিমানে রাখা অক্সিজেন সিলিন্ডার পাল্টানো জরুরি ছিল। একারণেই অনভিপ্রেত এই ঘটনাটি ঘটেছে।