কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিহারে কি জট ক্রমশ পাকছে? রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এখন এ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। রবিবার সন্ধ্যায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করার পর থেকে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, সোনিয়ার সঙ্গে নীতীশের বৈঠক হতে পারে। সোমবার রাতে কংগ্রেস নেতৃত্ব বিহারের ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেন। ইতিমধ্যে বিহারে পৌঁছেছেন দালের রাজ্যসভা সদস্য অখিলেশ প্রসাদ সিং এবং বিহারের ইন চার্জ ভক্তচরণ দাস।
তবে সোমবার জেডিইউ নেতা উপেন্দ্র কুশওয়া দাবি করেছেন, বিজেপির সঙ্গে তাদের কোনও ঝামেলা হয়নি। সব ঠিক আছে। কিন্তু তিনি সব ঠিক হ্যায় বললেও সব যে ঠিক নেই, তা নানা ঘটনা পরম্পরায় স্পষ্ট হচ্ছে। আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, বিহারে পরিবর্তন অবশ্যই দরকার। সিপিআই (এমএল)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, জেডিইউ যদি বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে, তবে আমরা সাহায্য করতে পারি। নীতীশ অবশ্য এখন পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি দলীয় মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের বৈঠক ডেকেছেন। নীরব আরজেডির তেজস্বী যাদবও। তবে দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, জেডিইউকে বরণ করে নিতে রাজি, যদি তারা বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে।
জেডিইউয়ের আশঙ্কা, বিজেপি দল ভাঙতে উঠেপড়ে লেগেছে। রাতেই উপমুখ্যমন্ত্রী তারা কিশোর প্রসাদের বাড়িতে দলের নেতাদের বৈঠক বসে। বহু মন্ত্রী এবং বিধায়ক ওই বৈঠকে হাজির। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা আরসিপি সিং এবং রাজ্যের প্রাক্তন জেডিইউ মন্ত্রী অশোক চৌধুরিকে দল ভাঙানোর কাজে ব্যবহার করছে বিজেপি। নীতীশ এখন দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে মরিয়া। কংগ্রেসও চিন্তিত তাদের ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে। তাঁদের মধ্যে থেকে কাউকে কাউকে আবার বিজেপি ভাঙিয়ে নিয়ে যাবে না তো, এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কংগ্রেসের ভিতরে।