নয়া দিল্লি: সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের জামিনের আবেদন সোমবার খারিজ করে দিল লখনউয়ের দায়রা আদালত। তাঁর বিরদ্ধে ইডি আর্খিক নয়ছয়ের মামলা রুজু করেছে আগেই। গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য ইউএপিএ মামলায় কাপ্পানের জামিন মঞ্জুর করেছিল। তবে তাঁর বিরুদ্ধে পিএমএলএ আইনে মামলা চালু আছে। ১২ অক্টোবর জেলা আদালেতর বিচারক সঞ্জয় শঙ্কর পাণ্ডে শুনানি শেষ করলেও রায়দান স্থগিত রাখেন।
২০২০ সালের অক্টোবর মাস নিউজ পোর্টাল আঝিমুখমের সাংবাদিক এবং কেরালা ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টসের দিল্লি ইউনিটের সম্পাদক কাপ্পান আরও তিনজনের সঙ্গে গ্রেফতার হন। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্ষণের পর খুন হওয়া ১৯ বছরের এক দলিত মেয়ের বাড়ি যাওয়ার সময় সময় তাঁদের যোগীরাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করে। কাপ্পান-সহ ওই চারজন সেই ঘটনার খবর সংগ্রহের উদ্দেশে মেয়েটির বাড়ি যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়। রাস্তা থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের যুক্তি ছিল, তাঁরা এলাকায় হাঙ্গামা করার জন্য যাচ্ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহেরও মামলা করা হয়। পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে পিএমএলএ আইনেও মামলা করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তিনি একাধিক দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে জড়িত এবং তাঁদের আর্থিক সহযোগিতাও করেন।
আরও পড়ুন Supreme Court: শিণ্ডে বনাম ঠাকরে, মঙ্গলে মহারাষ্ট্র মামলার সুপ্রিম শুনানি
পিএমএলএ মামলায় কাপ্পানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং বাতি তিনজন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার থেকে নিয়মিত টাকা নিতেন দাঙ্গা বাঁধানোর উদ্দেশে। ইডির আরও দাবি, পিএফআইয়ের ছাত্রনেতা রউফ শরিফ কাপ্পানকে হাথরসে যাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিল।
যদিও কাপ্পানের আইনজীবী এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। সুপ্রিম কোর্ট সেপ্টেম্বর মাসে বলে, ইতিমধ্যে কাপ্পানের ৭০০ দিন জেল হেফাজত হয়ে গিয়েছে। আর কতদিন তিনি জেলে কাটাবেন। এই যুক্তিতে শীর্ষ আদালত তাঁকে জামিন দেয়। শীর্ষ আদালত ইউএপিএ মামলায় জামিন দিলেও পিএমএলএ মামলায় জামিন না হওয়ায় তিনি তখন জেল থেকে ছাড়া পাননি। সোমবার ফের লখনউ আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল।