কলকাতা: সামনেই কালীপুজো। দিওয়ালি (Diwali) ও কালীপুজো (Kalipuja) মানেই বাজি আর কলকাতার বাজি বাজার। তবে এবছরও ময়দানে বসছে না বাজি বাজার। সময়ের অভাব আর আর্থিক সমস্যার কারণে ময়দানকে বাদ দিয়েই কলকাতায় বাজি বাজার বসছে এবার। টালা, টালিগঞ্জ এবং যাদবপুর, এই তিন জায়গায় বাজি বাজার থেকে আতসবাজি কিনতে পারবেন ক্রেতারা। হাওড়ার ডুমুরজলাতেও বসছে বাজি বাজার (Firecracker Market)। মূলত সব ধরনের বাজিই থাকবে, যেমন থাকে। বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছেন সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি (Sara Bangla Atasbazi Unnayan Samiti)-র চেয়ারম্যান বাবলা রায় (Babla Roy)। বাজি বিক্রেতা (Firecracker Sellers) এবং ক্রেতাদের (Firecracker Buyers) উদ্দেশে তাঁর অনুরোধ, “সবুজ বাজি অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব (Eco Friendly) গ্রিন ফায়ারক্র্যাকার্স (Green Firecrackers) বিক্রি করুন এবং কিনুন।”
রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে পুলিশের কাছে রাজ্য সরকার যেন নির্দেশ দিয়ে রাখে, যাঁরা বৈধ সবুজ বাজি বিক্রি করছেন বা কিনছেন, তাঁদের যেন অযথা হয়রানির শিকার হতে না হয়। অনেক ক্ষেত্রেই বাজি বিক্রেতা এবং ক্রেতারা অযাচিত সমস্যার মধ্যে পড়ছেন বিভিন্ন জায়গায়তেই। তাঁর দাবি, এরকম অনেক অভিযোগ এসেছে। তাই রাজ্য সরকারের উচিত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।
আরও পড়ুন: Rupee Hits A New Record Low: এক সপ্তাহের মধ্যে ফের রেকর্ড পতন টাকার, ডলারপ্রতি ৮৩.১২ টাকা
এবার আতসবাজির বিষয়ে প্রথম থেকেই রাজ্যসরকারের (State Govt) কাছে সমিতির তিনটি দাবি ছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল, নোটিশ জারি করে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। কারণ, সারা ভারত জুড়ে দীপাবলির সময় এবং বাংলায় কালীপুজো উপলক্ষ্যে বাজি পোড়ানো হয়। আদালতের নির্দেশ রয়েছে এক্ষেত্রে যেন কড়া নির্দেশ মেনে চলা হয়। সবুজ বাজিই যেন ব্যবহার করা হয়। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই সমিতি রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল এবং রাজ্য সরকার সেই মতো আগেভাগেই নোটিশ দিয়েছে সবুজ বাজি বিক্রির বিষয়ে।
সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেছেন, “যাঁরা সবুজ বাজি কিনছেন, তাঁরা যেন বারকোড দেখে বাজি কেনেন। বাজি পোড়ানো কোনওভাবে ক্ষতিকারক নয়, তবে তা যেন সবুজ আতসবাজি হয়।”