পূর্বস্থলী: গ্রামের স্কুল (Village school) থেকে শহরে বদলির হিড়িক দেখে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাই কোটের বিচারপতিরা। রাজ্য বিধানসভার স্কুলশিক্ষা সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটিও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাদের রিপোর্টে। হাই কোর্ট এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির পর্যবেক্ষণ, এ রকম চলতে থাকলে গ্রামে শিক্ষার পরিকাঠামোই ভেঙে পড়বে। এই আবহে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়ের (Girls School) করুণ চিত্র উঠে এল।
শতবর্ষ প্রাচীন ওই স্কুলে ৮০০ ছাত্রী রয়েছে। স্কুলে ২৪ জন শিক্ষিকা (Teacher) থাকার কথা। সেখানে রয়েছেন মাত্র ৭ শিক্ষিকা রয়েছেন। তার মধ্যে একজন আবার ক্লার্ক। গত দেড় বছর ধরে তিনি অঙ্কের ক্লাস করাচ্ছেন। পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের আশঙ্কা, বিজ্ঞান বিভাগে (Science Grupe)শিক্ষিকা না থাকায় পরীক্ষায় ছাত্রীরা (Student)হয়তো ভালো ফল করতে পারবে না। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, অধিকাংশ দিনই স্কুলে ক্লাস হয় না। মেয়েরা হই-হুল্লোড় করে কাটিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: Viswa Bharati University: বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডব বন্ধ করা হবে, বিস্ফোরক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
স্কুল সুত্রের খবর, ২০২১ সালের পর থেকেই মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে অধিকাংশ শিক্ষিকা বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। বিজ্ঞান বিভাগে কার্যত কোনও শিক্ষিকাই নেই। ফলে দেড় বছর ধরে অঙ্কের ক্লাস নিচ্ছেন এক ক্লার্ক। স্কুলে গ্রুপ্র ডি কর্মীও (Grupe-D Staff) নেই। ছাত্রীদের দাবি, তাদেরই ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি পাল জানান, শিক্ষিকার অভাবের কথা ডি আই অফিস সহ সংসিলিষ্ঠ সব জায়গায় জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি।পর্যাপ্ত শিক্ষিকা না থাকায় বেশিরভাগ দিনই ক্লাস হয় না, ছাত্রীরা অপেক্ষা করে করে বাড়ি চলে যায়। এই অবস্থার জন্য তিনি শিক্ষা দফতরকেই দায়ী করেন।
পূর্বস্থলী বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা রাজনৈতিক খেলা খেলছেন। তার ফলেই স্কুলের এই হাল। বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। প্রধান শিক্ষিকা অবশ্য বিধায়কের অভিযোগ মানতে নারাজ।