রাষ্ট্রসঙ্ঘ: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ সম্মেলনে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের বাগযুদ্ধে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওল ভুট্টো জারদারি (Pakistan Foreign Minister Bilawal Bhutto Zardari)। বৃহস্পতিবার জারদারি ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ৯/১১-র মূল চক্রী ওসামা বিল লাদেনকে পাক আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল ভারত। তার জবাবে ভুট্টো বলেন, ভারতকে আমি বলতে চাই যে, ওসামা বিন লাদেন তো মারা গিয়েছেন। কিন্তু, গুজরাতের কসাই তো এখনও বেঁচে রয়েছেন। সেই কসাইটি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে রয়েছেন ভুট্টো। সেখানে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত তো এদেশে ঢোকার অনুমতি ছিল না। উনি হলেন আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের বিদেশমন্ত্রী হলেন আরএসএসের। আরএসএস কী? ভুট্টো বলেন, আরএসএস হল হিটলারের এসএস বাহিনীর অনুপ্রেরণায় তৈরি সংগঠন।
আরও পড়ুন: VijayDiwas2022: ভারত-বাংলাদেশে পালিত বিজয় দিবস, বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্মৃতিচারণ
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় বুধবার পাকিস্তানকে (Pakistan) কড়া জবাব দেয় ভারত (India)। কোনও রাখঢাক না করেই আন্তর্জাতিক মহলের সামনে পাকিস্তানকে একেবারে তুলোধনা করা হয়েছে। যে দেশ নিহত আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের মতো একজন ব্যক্তিকে আশ্রয়দান এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলা চালানোতে মদত দেয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাদের কোনও যোগ্যতা নেই অন্যকে উপদেশ বা জ্ঞান (Sermonize) দেওয়ার।
সারা পৃথিবী দেখতে পাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan) হল সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি (Epicentre of Terrorism)। ইসলামাবাদের (Islamabad) উচিত জঙ্গি দমন করে সজ্জন প্রতিবেশী রূপে আত্মপ্রকাশ করা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar) ফের একবার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আক্রমণ করেন পাকিস্তানকে। প্রাক্তন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের (US Secretary of State Hillary Clinton) পুরনো একটি বিবৃতি উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, সকলেই দেখতে পাচ্ছে কোভিডের আড়াই বছরে বিপুল ক্ষতির মধ্যেও কেউ ভোলেনি কোথা থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে।