মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি হয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। বিজেপি কর্মীরা ব্যাগে করে বোমা এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু তাঁরা তা করেনি। তবে যারা অশান্তি সৃষ্টির জন্য গাড়ি পুড়িয়েছে, পুলিশকে মারধর করেছে, তাদের ব্যাপারে আইন আইনের পথে চলবে।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। নিমতৌড়িতে ওই বৈঠকে সেখানে আহত পুলিশ কর্মীদের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই খোঁখবর নিতে গিয়েই নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, নবান্ন অভিযানে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আক্রান্ত হয়েছেন। জগাছার এক পুলিশ কর্মীর চোখ নষ্ট হওয়ার মত অবস্থা। দুষ্কৃতীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে।
ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, নবান্ন অভিযানে পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু তারা তা করেনি। পুলিশ সংযতভাবে মোকাবিলা করেছে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকে সার্টিফিকেটই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিজেপির কর্মসূচিতে বহিরাগতদের আনারও অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর অভিযোগ, ট্রেন ভাড়া করে লোক আনা হয়েছে। বহিরাগতদের আনা হয়েছে গুন্ডামি করার জন্য। মানুষ পাশে নেই বলেই এভাবে গুন্ডামি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমরা আন্দোলন করতে বাধা দিই না। কিন্তু আন্দোলনের নামে গুন্ডামি কোনওভাবেই কাম্য নয়। কারোর পক্ষেই এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
বুধবারই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজে কেজিএফ সিনেমার ট্রেলার-এর সঙ্গে মঙ্গলবারের নানা হিংসাত্মক ঘটনার ভিডিও-র কোলাজ তৈরি করে আক্রমণের সুরে জানিয়েছে, বিজেপি ফর ইন্ডিয়ার অর্থ হচ্ছে হিংসা। মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা পার্টির তথাকথিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের এই হচ্ছে আসল চেহারা।