কলকাতা: ২০২৪-এ বিজেপিকে হারাতে বিরোধী (Opposition) জোট সাফল হবে না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (General elections 2024) ফের দিল্লির (Delhi) ক্ষমতা ধরে রাখবে বিজেপি। লোকসভা নিবাচন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন পিকে (Prashant Kishore )।২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মাঠে নেমেছে বিজেপি (BJP)। একপ্রকার নিজেদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। পিছিয়ে নেই বিরেধী দলগুলি।বিজেপিকে হারিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসতে বিরোধী দলগুলি একছাতার তলায় আসতে চাইছে। যদিও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যে ২০২৪-এ বিরোধী ঐক্য বিজেপির বিরুদ্ধে “কখনও কাজ করবে না”। কারণ, তাদের স্থিতিশীলতা নেই ও আদর্শের দিক দিয়ে আলাদা বিরোধী দলগুলি। বিজেপিকে হারাতে গেলে আদর্শের মিল থাকতে হবে।
বিরোধী জোট নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishore ) বক্তব্য, বিরোধী(Opposition) ঐক্য একটি মুখোশের মতো।কিন্তু শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক দল বা নেতাদের একত্রিত করে উদ্দেশ্য পূরণ সম্ভব হবে না। বিরোধীরা যদি বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ করতে চায়, তাহলে তাদেরকে বুঝতে হবে যে তাদের শক্তি কোথায়। ক্ষমতাসীন শাসকের শক্তি বুঝেই তবে ময়দানে নামতে হবে। হিন্দুত্ব (Hinduism), জাতীয়তাবাদ (Nationalism) এবং উন্নয়ন (Development), এই তিন স্তম্ভই বিজেপিকে টিকিয়ে রেখেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই তিনটির মধ্যে যে কোনও দু’টি বিষয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তা না করলে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না বিরোধীরা।
আরও পড়ুন:Ayan Shil | অয়ন শীলের প্রভাব নিয়ে মুখ খুলছেন প্রতারিতরা
তিনি আরও বলেন, আর্দশ যে কোনও দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কিন্তু অন্ধ আর্দশ নিয়ে চললে আখেরে নিজেদের ক্ষতি হবে। কয়েকজন নেতা এবং রাজনৈতিক দলকে একমঞ্চে নিয়ে এলেই বিরোধী জোট তৈরি হয়ে যাবে না। কে কার সঙ্গে দুপুরের খাচ্ছে, কাকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তাতে এটা প্রমাণ হয় না যে বিরোধী জোট শক্তিশালী। যতক্ষণ আর্দশগত মিল হচ্ছে না, ততক্ষণ পরির্বতন সম্ভব নয়। তাই তাদের জোটগঠনের বিষয়টিও অনিশ্চিত বলে মনে করছেন প্রশান্ত।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোরের পাকা মাথার দাওয়াইতেই ২০১৪ সালে দিল্লির মসনদে র পথ প্রশস্ত করেছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীণ এনডিএ জোট। তাঁর নির্বাচনী কৌশল বিহারেও(Bihar) কাজে লেগেছে নীতীশ কুমারেও (Nitish Kumar), দিল্লির (Delhi) অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তৃতীয়বারের নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম ‘কারিগর’ এই প্রশান্ত কিশোর।তাঁর স্ট্র্যাটেজিতেই বাংলায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরেছিল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন পিকে। প্রশান্তের বক্তব্য ছিল, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুধু হাঁটা নয়, দীর্ঘ পদযাত্রার পর কংগ্রেস নির্বাচনী সাফল্য কতটা পাবে, সেটা নির্ভর করবে ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যের উপর।