বেঙ্গালুরু: গান্ধী পরিবারের বাইরে গিয়ে শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস (Congress) দলের সভাপতি হয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে(Mallikarjun Kharge)। তারপর পরপর দুটি পরীক্ষাতে সসম্মানে উত্তীর্ণ হলেন তিনি। সভাপতি (President) হওয়ার পরে হিমাচল প্রদেশে (HimachalPradesh) জয় পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) রাজ্য হিমাচল প্রদেশে (Himachalpradesh) হেরে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। তারপর এবার কর্ণাটকে জয় কংগ্রেসের। দক্ষিণ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। মল্লিকার্জুনের নিজের রাজ্যও কর্ণাটক (Karnataka)। স্বাভাবিকভাবে যারপরনাই উজ্জীবিত তিনি। এদিন জয়ের পরে মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, আমি এখন কোনও মন্তব্য করব না। কোনও সমালোচনাও করব না। আমরা জিতেছি। আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই জয় সাধারণ মানুষের জয়। আমরা যে পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলাম সেগুলি পূরণ করতে হবে। এই জয়ে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কার গান্ধীর অবদান রয়েছে।
এদিন বেলা তিনটে পর্যন্ত কর্ণাটকে ফলাফলের যা প্রবণতা তাতে ২২৪ আসনের বিধানসভায় ১৩৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জয়ের মার্জিন ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যে ঘটনায় উল্লাস বেড়েছে কংগ্রেস শিবিরে। গত ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হয়। প্রার্থী ছিলেন মল্লিকার্জুন ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের আর এক সাংসদ শশী থারুর। মল্লিকার্জুন অবশ্য বিপুল ভোটে জয়ী হন। তিনি সাত হাজারেরও বেশি ভোট পান। থারুর পান হাজারের কিছু বেশি ভোট।
আরও পড়ুন: The Kerala Story | BJP Rally | বিজেপির জনসভায় যোগ দেবেন ‘দ্যা কেরালা স্টোরি’র কলাকুশলীরা!
কংগ্রেসের অন্দরে অনেকদিন ধরেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি উঠছিল। দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দাবি ছিল, গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হন। ওই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী জি ২৩ বলে পরিচিতি লাভ করে। শশী থারুর সেই গোষ্ঠীরই নেতা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরেই রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। তিনি জানিয়ে দেন, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতি পদে থাকবেন না। শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বোঝালেও রাহুল অনড় থাকেন। ২০২০ সালে জি ২৩ গোষ্ঠীর নেতারা নির্বাচন চেয়ে সোনিয়াকে চিঠি দেন। তারপর রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির হয়। সেখানেই স্থির হয়, শীঘ্রই সভাপতি পদে নির্বাচন হবে। সেই মতোই কংগ্রেসে সাংগঠনিক নির্বাচিনের বাদ্যি বেজে ওঠে। ১৭ অক্টোবর ভোট হবে বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। ভোট হয় নির্বিঘ্নেই। ফল প্রকাশ হয় ১৯ অক্টোবর।