নয়াদিল্লি: ইউক্রেন যুদ্ধে সাফল্য না পেয়ে ক্ষমতা হারাতে হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে? বারবার আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের সম্মিলিত রক্তচক্ষুকে অবজ্ঞা করেছেন তিনি। সেই ১৯৯৯ সাল থেকে শক্তিধর রাশিয়াকে পরিচালনা করেছেন। কখনও প্রধানমন্ত্রী, কখনও রাষ্ট্রপতি হিসেবে। শেষ দফায় ২০১২ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি। এবার তাঁকে সরে যেতে হবে বলে রাশিয়ার আধিকারিকরা বিকল্পের খোঁজ শুরু করেছেন, এমনই রিপোর্ট মিলেছে বলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক আকস্মিক দাবি করল।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউক্রেনে অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। সেখানে দুই দেশের পুরদস্তুর যুদ্ধ চলছে। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ৪০ শতাংশ বিদ্যুত তৈরির ইউনিট রাশিয়ার মিসাইল ও ড্রোন হামলায় নষ্ট হয়েছে। তবে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বারবার ধাক্কা খেয়েছে মহাশক্তিধর দেশ বলে পরিচিত রাশিয়ার সেনা। দেশের রিজার্ভ সেনাকে যুদ্ধক্ষেত্রে আনে রাশিয়া। তাতেও বেগতিক পরিস্থিতি সামাল না দিতে পারায় রাশিয়া বারবার পরমাণু হামলার কথা তুলে ধরে। এরই মধ্যে পুতিনকে সরানোর এই খবর আলোড়ন ফেলেছে সর্বত্র।
আরও পড়ুন Elon Musk to Cut down Twitter Workforce: আগামী দিনে হবে আরও ছাঁটাই, কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন মাস্ক
ইউক্রেনের চিফ অফ ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স মেজর জেনারেল ক্রাইনো বুদানোভের দাবি, রাশিয়ার বরিষ্ঠ আধিকারিকরা এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন না। তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানোর আলোচনা চলছে। কে তাঁর বিকল্প হবেন সেই বিষয়ে খোঁজ চলছে।
মেজর জেনারেলের আরও দাবি, খেরসনে বারবার ধাক্কা খাচ্ছে রাশিয়ান সেনা। নভেম্বরের মধ্যে ইউক্রেন খেরসন দখলমুক্ত করার চেষ্টা করবে। এবার ইউক্রেন রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়ার দিকেও এগিয়ে যাবে। ২০১৪ সাল থেকে তা রাশিয়ার দখলে রয়েছে। বন্দর শহর খেরসনে পূর্ব দিক ধরে পাল্টা এগিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়ার অভিযানের শুরু থেকে খেরসন মস্কোর দখলে আছে।
তবে এই জল্পনার সত্যতা নিয়ে রাশিয়ার কোনও অফিশিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল পুতিন অসুস্থ। তবে কয়েক দিন আগেই পরমাণু বোমার মহড়ায় স্ক্রিনে চোখ রাখতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেশের শীর্ষে বসার আগে রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা বিভাগে ১৬ বছর কাজ করেছেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল থাকার সময় অবসর নিয়ে রাজনীতিতে নামেন।