সোনার দোকানের জন্য ১০ দফা নির্দেশিকা দিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ

পুরুলিয়া: সোনার (Gold)  বিপনিতে (Shop) ৮ কোটি টাকার ডাকাতির ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলা পুলিশকে (Police)। তাই ঝাড়খণ্ড ছুঁয়ে থাকা এই জেলার সমস্ত স্বর্ণ বিপনিকে ১০ দফা নির্দেশিকা পাঠাচ্ছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। তা খুব শীঘ্রই কার্যকর করার জন্য জেলাজুড়ে সমস্ত স্বর্ণবিপনি ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। বড় ব্যবসায়ীদেরকেও এই নির্দেশিকা পাঠানো হবে। এমনই জানালেন জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । পুরুলিয়া চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০২৩ সভায় এসে একথা জানালেন তিনি।

 এই ১০ দফা নির্দেশিকার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিপনিগুলিতে অ্যালার্ম বা বিপদ ঘণ্টি রাখা। যাতে যে কোনও অবস্থার মধ্যেই তা কার্যকর করা যায়। যা শহর পুরুলিয়ার নামোপাড়ায় ডাকাতি হওয়া ওই সোনার দোকানে ছিল না। এই বিপদ ঘণ্টি থাকার কারণেই সম্প্রতি হুড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টা থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া সমস্ত সমস্যার মুশকিল আসানে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের অ্যাপ “সহায়’ দোকানের সব কর্মচারীদের মোবাইলে ডাউনলোড করে রাখার পাশাপাশি তা ব্যবহার জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বৃদ্ধাকে ঘরছাড়া করতে বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে 

স্বর্ণ বিপণিদের সুরক্ষায় ১০ দফা যে নির্দেশিকা দিয়েছে তা হল, 
১) স্থানীয় থানা ও পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর রাখা। 
২) কর্মচারীদের মোবাইলে ‘সহায়’ অ্যাপ ডাউনলোড। 
৩) ফোনে এসওএস সুবিধা।
৪) সিসিটিভির দ্বিতীয় ডিভিআর।
৫) বিপদ ঘন্টি। 
৬) লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র সমেত নিরাপত্তারক্ষী।
৭) ক্রেতাকে দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয় থানায় জানানো।
৮) নিয়োগের সময় কর্মচারীদের
‘ভেরিফিকেশন’।
 ৯) নির্দিষ্ট সময় অন্তর সিসিটিভি
ক্যামেরা ও তার ব্যাকআপ অ্যালার্ম কার্যকর আছে কিনা তার তদারকি
১০) ভিজিট বুকের ব্যবস্থা।