কলকাতা: সপ্তাহভর রাজ্যজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার (Weather Update) পূর্বাভাস। মিলছে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত। সপ্তাহ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা! বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের (Thunderstorm) সম্ভাবনা থাকছে কোথায় কোথায়। কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর? মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুদিন বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে এই পরিস্থিতির সম্ভাবনা। মার্চের শুরুতেই গরম। তার থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে রাজ্যবাসী।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আজ শহরে সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি। পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৪ থেকে ৮৮ শতাংশ। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই শহরে। বৃহস্পতি থেকে শনিবারের মধ্যে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে কলকাতায়। বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে দমকা হাওয়াও।
আরও পড়ুন: Money Can Buy Happiness | অর্থ দিয়েই সুখ কেনা যায়, গবেষণায় দাবি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, পূবালি হাওয়া ও পশ্চিমী হাওয়ার সংঘাতের জেরেই এই পরিবর্তন। ঝাড়খণ্ডে নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং সঙ্গে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প আসবে বঙ্গোপসাগর থেকে। মঙ্গলবার থেকে সোমবার পর্যন্ত এক সপ্তাহ ধরে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি বাংলায়। ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতিবেগ কালবৈশাখীর রূপ নিতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
সপ্তাহভর এই ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির আশঙ্কা রাজ্যে। এর ফলে জমিতে শস্যের ক্ষতি হতে পারে। শিলাবৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে আম চাষের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। দুর্বল বা কাঁচা কাঠামোর বাড়িঘরের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, রবিবার থেকেই দেশের পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে একটি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রভাব ফেলতে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে পারে রাজস্থান, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, মধ্য মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে। ১৫ মার্চ পূর্ব মধ্য প্রদেশে, ১৪ মার্চ বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব অংশে। আগামী পাঁচদিন দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি দেখা যাবে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে।