কলকাতা: রাজভবনে (Raj Bhavan) নববর্ষ। শনিবার পয়লা বৈশাখকে (Poila Baisakh) ঘিরে এবার নতুন কর্মসূচি। সেই দিন থেকেই আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে রাজভবনের দরবার। বাংলার নববর্ষ পালনের জন্য আগেই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সহ রাজ্যমন্ত্রী সভার একাধিক সদস্য। হাজির থাকবেন অনেক বিশিষ্টজনও।
শহরের নামজাদা শিল্পীরা রাজভবন সাজিয়ে তুলছেন। মুল গেটে থাকছে পটচিত্র। রাজবাড়ির আদলে তৈরি করা হচ্ছে মূল গেট। রাজভবন প্রাঙ্গণেই হচ্ছে মূল মঞ্চ। সেখানে উঠে আসবে গ্রাম বাংলার সব শিল্প-সংস্কৃতি। শনিবার বিকেল ৫টায় শুরু হবে রাজভবনের বৈঠকি আড্ডা।
আরও পড়ুন: Amit Shah | ভাইপো নয়, মুখ্যমন্ত্রী হবে বিজেপি থেকেই, দাবি শাহ’র
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। বাংলা ভাষা শেখার জন্য গত সরস্বতী পুজোর দিন হাতেখড়িও হয় রাজ্যপালের। এবার বাংলার নববর্ষ পালনের পরিকল্পনা রাজভবনে। ওই দিন রাজভবনে তুলে আনা হবে বাংলার লোকসংস্কৃতি। থাকবে বাংলা ভাষার উপর আলোচনা সভা, গান,কবিতার আয়োজনও।
সম্প্রতি রাজভবনের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত তৈরি হয়েছে নবান্নের। রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর দিনাজপুরের হিংসা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল। হাওড়ার শিবপুরে যাওয়া প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল রাজ্যপালের। এমনকি প্রস্তুত ছিল কনভয়ও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শিবপুরের যাওয়া স্থগিত রাখেন তিনি। তবে হনুমানজয়ন্তীর দিন রাজ্যপাল রিষড়ায় চলে যান। সম্প্রতি রাজ্যপাল নিজের মতো করে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেও রাজ্য সরকারের তোপের মুখে পড়েন। শুক্রবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেন, রাজ্যপাল মত্ত হস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এসব না করে আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিন।
শিক্ষামন্ত্রীর আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার রাজভবনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে চায়। কিন্তু রাজ্যপাল সে সব না করে একতরফা ভাবে স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছেন।