সেই ১০ জনপথেই গিয়ে পড়ল রাজস্থানের (Rajasthan) সঙ্কট। অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) শিবিরের বিদ্রোহ প্রশমনে মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) ও অজয় মাকেনের (Ajay Maken) মতো কেন্দ্রীয় নেতারা যখন ব্যর্থ, তখন সোনিয়া গান্ধীকেই হস্তক্ষেপ করতে হল। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে যে গেহলটকে ভাবা হচ্ছিল, এখন তাঁকেও ছেঁটে ফেলতে পারেন সোনিয়া।
সোনিয়ারই নির্দেশে ফের গেহলটের সঙ্গে আলোচনা বসছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং অজয় মাকেন। সেই উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জয়পুরের ম্যারিয়ট হোটেলে দলীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে এসে গিয়েছেন। এই বৈঠকে সমাধানসূত্র মিলতেও পারে। তবে, সোনিয়া গান্ধী নিজে যে এই ঘটনায় খুবই অসন্তুষ্ট, তা বোঝা গিয়েছে মাকেনের কথাতেই। তিনি বলেছেন, এই সংকটের মূল কারণ হল স্বার্থের সংঘাত।
আরও পড়ুন: Pakistan PM Shehbaz Sharif: পাক প্রধানমন্ত্রীর অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে বিতর্ক, নিলামে দাম উঠল প্রায় ৩ কোটি
আকবর রোডের সদর দফতরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, দিগ্বিজয় সিং, কমল নাথ এমনকী মুকুল ওয়াসনিকও সভাপতি পদে দাঁড়াতে পারেন। অন্যদিকে, শশী থারুরের দাবি, তিনি সভাপতি পদে দাঁড়াচ্ছেন এবং সব রাজ্যেই তাঁর পক্ষে বিপুল সমর্থন রয়েছে। ফলে, গান্ধী পরিবার সরে দাঁড়াতে চাইলেও রাজস্থানের ঘটনা প্রমাণ করতে চলেছে, ওই বাড়িতেই রয়েছে দলের প্রাণভোমরা।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, গেহলট শিবিরের এই আচরণে কংগ্রেস হাইকমান্ড যারপরনাই ক্ষুব্ধ। এরজন্য দুই বিধায়ক মহেশ যোশি এবং শান্তি ধারিওয়ালকে শোকজ করতে চলেছে দল। দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হবে।