মাথাভাঙাঃ স্কুলে (School) এসে খাতায় সই (Signature) করেছেন। তারপরই আচমকা বেরিয়ে যান স্কুল থেকে। তার কয়েক ঘণ্টা পরই নদী (River) থেকে উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। কোচবিহারের মাথাভাঙা গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মাথাভাঙ্গা শহরের নয় নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া সুটুঙ্গা নদীতে বুধবার এই ঘটনাটি ঘটে। এদিন দুপুরে নদীতে দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে জানা যায় সেটি ওই স্কুল শিক্ষিকা অঞ্জলি রায়ের মৃতদেহ। স্কুল ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর শুশ্রুষাও চলছিল।
জানা গিয়েছে, মাথাভাঙ্গা (Mathabhanga) আমলাপাড়ার বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা এদিন সকালে ওই স্কুলে ব্যাগ রেখে সই করে বেরিয়ে যান। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই নদীতে দেহ মেলার খবর পান এলাকার বাসিন্দারা। বিদ্যালয়ে প্লাটিনাম জুবিলি বর্ষের অনুষ্ঠান। তার ঠিক আগের দিন শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর চাউর হতেই ভিড় জমান এলাকাবাসীরা। ঘটনাস্থলে আসে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ এবং মাথাভাঙ্গা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্যরা। কী কারণে ওই স্কুল শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চিৎকনা সাহা বলেন, ইতিহাস বিভাগের ওই শিক্ষিকা অঞ্জলি রায় (AnjaliRoy) এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি মানসিক অবসাদে (MentalDepression) ভুগছিলেন। অনেকবার বলেছেন, বাঁচতে ইচ্ছে করে না।
আরও পড়ুন:Siliguri Woman Death: স্ত্রীকে থেঁতলে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর
ওই শিক্ষিকা বিবাহিত। তাঁর স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ওই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে। তাঁর স্বামী সুনীল রায় দিনহাটা কলেজের অধ্যাপক। তিনি জানান, প্রায় বছর দশেক ধরে অঞ্জলিদেবী অবসাদে ভুগছিলেন। রাজ্যে ও রাজ্যের বাইরেও এই নিয়ে তাঁর শুশ্রুষা চলছিল।