জলপাইগুড়ি: শীতলকুচির গুলি-কাণ্ডে আগাম জামিন পেলেন সিআইএসএফের (Central Industrial Security Force) ৬ জওয়ান। বুধবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এবং বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ ৬ জওয়ানের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
২০২১ সালের ১০ এপ্রিল বিধানসভা (Assembly) ভোট চলাকালীন মাথাভাঙার একটি বুথ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, সিআইএসএফ জওয়ানরা ভোটলুঠে বাধা দেওয়াতে সেখনে ইভিএম মেসিন (EVM Machine) ভাঙচুর করা হয়, ভোট (Vote) কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়, তখন জওয়ানরা (Soldier) গুলি চালান (Shooting)। এতে মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসীর। রাজ্য পুলিশ এবং মৃতদের পরিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করে। কোচবিহার আদালত ৬ সিআইএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল। এর পর কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন ওই সিআইএসএফ জওয়ানরা।
রাজ্যের তরফে দায়ের করা মামলার তদন্তভার নিয়েছিল সিআইডি। এদিন জলপাইগুড়ি সার্কিটের সরকারি আইনজীবী অদিতিশঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, তদন্তের জন্য সিআইএসএফের জওয়ানদের অন্তত ৬ বার ডাকা হয়েছিল, একবারও আসেননি। যে মোবাইল এবং সিসি টিভির ফুটেজ তদন্তকারীরা সংগ্রহ করেছিলেন সেগুলিতে নানা অসঙ্গতি আছে। তাই জওয়ানদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হয়েছিল। কেসের ফাইনাল রিপোর্ট তৈরির জন্য জওয়ানদের বয়ান প্রয়োজন।
সিআইএসএফ জওয়ানদের তরফে সওয়াল করা ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল সুদীপ্ত মজুমদার বলেন, গত বিধানসভা ভোটে শীতলকুচির একটি বুথে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়। জওয়ানরা তখন প্রথমে লাঠি চালান। পরে তাঁরা গুলি চালাতে বাধ্য হন। গুলিতে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে চার জনের মৃত্যু হয়। এর পরে রাজ্য পুলিশ সিআইএসএফের ৬ জন জওয়ানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে। তার প্রেক্ষিতেই আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন জওয়ানরা। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।