হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, এসএসসিতে যাঁরা ব়্যাঙ্ক জাম্প করে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে এবং চাকরি বাতিল করতে হবে। সেইমতো ব়্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়া ১৮৩ জনের তালিকা আদালতের কাছে জমা দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যাঁদের থেকে ইতিমধ্যে ২০ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। বাকিদেরও বাতিল করা হবে। এই মর্মে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে এসএসসি।
সবচেয়ে বেশি চাকরি বাতিল হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। সেখানে চাকরি বাতিল করা হয়েছে ১০ জনের। তাছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি স্কুল থেকে ১ জন, উত্তর দিনাজপুর জেলার ২ জন, হাওড়ার একটি স্কুল থেকে ১ জনের চাকরি গিয়েছে। মালদার একটি স্কুল থেকে ১ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। তবে সেই তালিকায় ৩ জন চাকরিপ্রার্থীর স্কুলের নাম দেওয়া নেই। এক চাকরিপ্রার্থীর স্কুলের নাম দেওয়া থাকলেও জেলার নাম দেওয়া নেই।
আরও পড়ুনKarnataka Hijab SC: কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ, আজ রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট
ওই হলফনামায় ব়্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরিপ্রাপ্তদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে কলকাতার রয়েছেন সাত জন। হাওড়া থেকে আছেন দুজন, জলপাইগুড়ি থেকে আট জন। মালদা থেকে আছে ২৫ জন, মুর্শিদাবাদ থেকে রয়েছেন ১৩৬ জন।উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় রয়েছেন তিন জন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রয়েছেন তিন জন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রয়েছেন নয় জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় রয়েছেন ২৮ জন। উত্তর দিনাজপুর জেলায় রয়েছেন ১২ জন।
তবে এই চাকরি বাতিল করা ও তালিকা জমা দেওয়ার ফলে এসএসসি তাদের ‘ভুল’-এর কথা আইনিভাবে স্বীকার করে নিল বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। মেধা তালিকায় নীচের দিকে থাকা প্রার্থীরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন। অথচ যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে হাইকোর্টে নিয়োগ মামলা চলছে। সেই মামলায় ইডি ও সিবিআই তদন্তও চালাচ্ছে। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসএসসির উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।