কলকাতা: শুক্রবার বলেছিলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। দলের সমস্ত পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক কি না, সেটা সময় বলবে।’ আর রবিবার বললেন,’ সময় এলেই বুঝবেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে।’ গ্রেফতারি নিয়ে ষড়যন্ত্রে তত্ত্বে অনড় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার সকালে জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিবকে। তখনই প্রশ্ন করা হয়, টাকা কার? জবাবে পার্থ বলেন, ‘আমার কোনও টাকা নেই।’
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে পার্থকে নিয়ে ইডি আধিকারিকদের কনভয় বের হয়। সিজিও থেকে জোকা পর্যন্ত গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা করা হয়। একটি সিগন্যালেও দাঁড়ায়নি গাড়ি। কনভয়ের প্রথমেই ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি, তার পরের গাড়িতে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পর ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি, তার পরের গাড়িতে ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কনভয়ের শেষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ২৩ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। সেদিন সন্ধ্যায় পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। তার পর থেকেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল, কেন এখনও পার্থকে দল এবং মন্ত্রিসভায় রেখে দেওয়া হয়েছে। শাসকদলের অন্দরেও তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার পরই বৃহস্পতিবার পার্থকে দল থেকে অপসারণের কথা জানানো হয়। পার্থর হাত থেকে সমস্ত দফতরও নিয়ে নেওয়া হয়।