নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা খেল বিরোধীরা (Opposition)। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালত কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সহ ১৪টি বিরোধী দলের আনা সিবিআই (CBI), ইডিকে (ED) অপব্যবহারের অভিযোগের আবেদনের শুনানি খারিজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিরোধী দলগুলির উপরে অপব্যবহার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে ১৪টি বিরোধী দল মিলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice DY Chandrachud) এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, বাস্তব কোনও দৃষ্টান্ত ছাড়া তারা সাধারণ কোনও নির্দেশ বা রায় ঘোষণা করতে পারবে না।
বেঞ্চের মতে, নির্দিষ্ট কোনও সত্য ঘটনার অনুপস্থিতিতে সাধারণ ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনও নির্দেশ ক্ষতিকর হতে পারে। বেঞ্চ আরও বলেছে, রাজনৈতিক নেতারা সাধারণ মানুষের ঊর্ধ্বে এমনটা দাবি করতে পারেন না। তার জন্য পৃথক কোনও আইনি সুবিধাও তাঁরা পেতে পারেন না। সে কারণে তাঁদের জন্য আলাদা করে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া যেতে পারে না। আদালত কেবলমাত্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক ঘটনাতেই পদক্ষেপ করতে পারে।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee | অভিষেকের নেতৃত্বে রাজ্যের দাবি আদায়ে দিল্লিতে তৃণমূল, মন্ত্রীর দেখা মিলল না
আবেদনকারীদের পক্ষে প্রবীণ কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি যখন দেখেন বেঞ্চ এই আবেদন শুনতে রাজি নয়, তখন তিনি আর্জিটি প্রত্যাহার করে নেন। বিরোধী দলের এই আর্জিতে ছিল, নির্দিষ্টভাবে বাছাই করা বিরোধী দলের নেতাদের তদন্তকারী সংস্থাদের দিয়ে হেনস্তা, আটক, গ্রেফতার করা হচ্ছে। এর জন্য দলগুলির তরফে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকা জারির আবেদন জানানো হয়েছিল।
সিংভি আদালতে বলেন, গণ গ্রেফতারি গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক এবং স্বৈরতন্ত্রের ইঙ্গিতবাহী। এর জবাবে বেঞ্চ বলেছে, আপনি যখন বুঝতে পারছেন, বিরোধীদের জায়গা বা অধিকার খর্ব করা হচ্ছে, তখন তার উপশমও আছে। আর তা রাজনৈতিক লড়াই। আদালতে নয়। এরপর দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কৌঁসুলি নিজে থেকে যখন আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন, তখন আদালত এই আবেদনকে খারিজ করে দিল। আপনারা আমাদের কাছে তখনই আসবেন, যখন ব্যক্তিগত কোনও ফৌজদারি ঘটনা বা ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত আপনাদের হাতে আসবে। আদালত আরও জানিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনীতিকদের জন্য কোনও নির্দেশিকা দেওয়া যায় না। রাজনীতিকরাও সাধারণ মানুষের সমান।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছাড়াও ডিএমকে, আরজেডি, বিআরএস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, এনসিপি, উদ্ধব সেনা, জেএমএম, সংযুক্ত জনতা দল, সিপিআই, সিপিএম, সমাজবাদী পার্টি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স মিলিতভাবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল।