কাবুল: ক্ষমতায় আসার আগে নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান (Taliban)। কিন্তু অচিরেই সবার ভুল ভাঙে। সেই কঠোর শরিয়তি আইন, মেয়েদের লেখাপড়ায় নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপ করে তালিবান সরকার (Taliban Government)। তবে এবার কিছুটা শিথিল হয়েছে তারা। প্রথম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশুনো করার অনুমতি দিল আফগানিস্তানের (Afghanistan) শাসকরা। সে দেশের শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্তই, তার বেশি নয়।
কয়েক সপ্তাহ আগে এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা গিয়েছিল। মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) পঠন পাঠন নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল তালিবান সরকার। দুনিয়া জুড়ে এই পদক্ষেপের নিন্দা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি তারা। মিডল এবং হাইস্কুলেও মেয়েদের পড়াশুনো বন্ধ করে দেয় আফগানিস্তান সরকার। শুধু তাই নয়, চাকরি ক্ষেত্রে থেকেও বঞ্চিত হতে শুরু করেন আফগান মেয়েরা। বাড়ির বাইরে বেরতে হলে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢাকা পোশাকের নিদান দেওয়া হয়। পার্ক কিংবা জিমে মেয়েদের ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়। রাস্তায় বেরলে একজন পুরুষ আত্মীয় সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: হাড়কাঁপানো শীতেও সোয়েটার পরছেন না রাহুল, এবার জানালেন আসল কারণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে আফগানিস্তানের (Afghanistan) উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম বলেছিলেন, ইসলামিক বিধিনিষেধ মানছিল না মেয়েরা। পোশাকের ক্ষেত্রে তো বটেই এমনকী চলাফেরার সময় পুরুষ আত্মীয় সঙ্গে নেওয়ার নির্দেশও মানা হয়নি। এক বিবৃতিতে নাদিম বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ১৪ মাস কেটে যাওয়ার পরেও নারী শিক্ষা সংক্রান্ত ইসলামিক এমিরেটসের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশ মানা হয়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু মেয়ে এমন পোশাক পরছে যেন তারা বিয়েবাড়ি যাচ্ছে। এমনকী হিজাব (Hijab) সম্পর্কিত নির্দেশাবলিও মানছে না অনেকে। নাদিম এও বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষিবিজ্ঞান এবং আরও কয়েকটি কোর্স নারীদের সম্মান এবং আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না।