পুরুলিয়া: তপন কান্দু খুনের ঘটনায় বুধবার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল পুরুলিয়া জেলা আদালতে। এই মামলায় ৭১ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। এদিন প্রথম একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। অভিযোগকারী প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াইয়ের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে জেরা পর্ব চলে পুরুলিয়া জেলা তৃতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে।
অভিযুক্তদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নন্দলাল সিংহানিয়া এবং সিবিআইয়ের আইনজীবী। এজলাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ধৃতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন আমাদের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ আছে? অন্যায়ভাবে আমাদের ৫ মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁদের দাবি, আমরা নির্দোষ, আমাদের কংগ্রেস ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। যেহেতু আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি, তাই আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। সাক্ষীকে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে জোর করে তাদের গাড়ীতে করে নিয়ে আসে সিবিআই। আমাদের পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে সিবিআই। বলানোর চেষ্টা করছে যে, আমরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: গরু পাচার কাণ্ডে ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রত মণ্ডলের
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসের ১৩ তারিখ ঝালদা শহরের অদূরে গোকুলনগর এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। অভিযোগের তির ওঠে স্থানীয় থানার আইসি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের উপরে আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। গত ৪ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
৯০ দিনের মাথায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করে সিবিআই। ঘটনায় যুক্ত মূল ২ জন শ্যুটারকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। এদিন জেলা আদালতে নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু এসেছিলেন। তাঁর দাবি, সিবিআই তাদের মতো করে তদন্ত করছে। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি খুনিরা ধরা পড়বে।