কলকাতা: আবার পিছিয়ে গেল ডিএ (DA) মামলার শুনানি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শুনানি হবে ১১ এপ্রিল। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পাঁচবার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। কলকাতায় শহীদ মিনার ময়দানে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অবস্থান মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের উপর তাঁদের ভরসা আছে। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন চলবে। গত ১৮ মার্চ থেকে তাঁরা ডিজিটাল ধর্মঘট শুরু করেছেন।
গত বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, রাজ্য সরকারকে কর্মচারীদের ডিএ দিতে হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। রাজ্য সরকারের দাবি, বকেয়া ডিএ মেটাতে হলে ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই খরচ করা রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। মামলাকারী রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আইনজীবীর বক্তব্য, রাজ্যের বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হবে, এটা যেমন সত্যি। তেমনি ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার। এটাও সত্যি। সুপ্রিম কোর্টে গত কয়েক মাসে চারবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। মাঝে বেঞ্চের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়কে। দুই বাঙালি বিচারপতি ডিএ মামলার দায়িত্ব পাওয়া সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে খুশির হাওয়া বয়ে গিয়েছিল। তা ভালোভাবে নেননি বিচারপতি দত্ত। তিনি বেঞ্চ থেকে সড়ে দাঁড়ান। পরে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ও সরে দাঁড়ানোয় নতুন করে বেঞ্চ গঠন করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল ২১ মার্চ শুনানি হবে। কিন্তু এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ডিএ মামলা শোনার জন্য দীর্ঘ শুনানি দরকার। মঙ্গলবার আরও অনেক মামলা আছে, তাই এই মামলা শোনা যাবে না। আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে ১১ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: OMR Sheet | Ayan Shill | টাকার পর ওএমআর, থরে থরে সাজানো অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্র
আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এদিন জানিয়েছে, তারা আদালতের প্রতি সম্পুর্ণ আস্থা রাখছে। মঞ্চের আশা, আদালত থেকে তারা সুবিচার পাবে। মঞ্চের আহ্বায়ক ভাষ্কর ঘোষ জানান, তাঁদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজন হলে লাগাতার ধর্মঘটের পথে যাবেন তাঁরা। গত শনিবার থেকে সরকারি কর্মচারীরা ডিজিটাল ধর্মঘট শুরু করেছেন। এই ধর্মঘটের অঙ্গ হিসেবে তাঁরা অফিসের কাজে ব্যাক্তিগত ফোন ব্যবহার করছেন না। অফিস আওয়ার্সের বাইরে অফিসারদের ফোনও ধরছেন না। প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ মঞ্চ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। মঞ্চের দাবি ধর্মঘট সফল হয়েছে। সরকার ধর্মঘটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। তবে তাতেও দমার পাত্র নয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।