skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
Homeজেলার খবরShantipur Incident: নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ দাহ

Shantipur Incident: নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ দাহ

Follow Us :

শান্তিপুর: এক নাবালিকার (১৪) অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে হইচই শান্তিপুর (Shantipur) থানার হরিপুরে (Haripur)। অভিযোগ উঠেছে, স্থা্নীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান শোভা সরকারের (Shova Sarkar) মদতে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই ওই নাবালিকার দেহ পরিবারের লোকজন রাতের অন্ধকারে তড়িঘড়ি দাহ করে দেন। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি মানতেই চাননি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে।তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাড়িতেই মৃত্যু হয় হরিপুরের (Haripur) উত্তর কলোনির বাসিন্দা ওই নাবালিকা। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর পরিবারের লোকজন দেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। হরিপুর পঞ্চায়েতের অধীনে নৃসিংহপুর শ্মশানে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই মৃতদেহ দাহ করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, মৃত্যুর পিছনে কোনও রহস্য আছে বলেই কি তড়িঘড়ি মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে? 

আরও পড়ুন: Udayan Guha:  কোচবিহারে নিশীথ যেখানেই যাবেন, সেখানেই কালো পতাকা, হুঁশিয়ারি উদয়নের 

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল মজুমদার বলেন, এই শ্মশানটি বাড়ির কাছে। সেই কারণে নাবালিকাকে সেখানেই নিয়ে গিয়ে দাহ করা হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক অশরীরী আত্মা নাবালিকার ডেথ সার্টিফিকেট এবং আধার কার্ড নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছে। গোপালের দাবি, তিনিই দায়িত্ব নিয়ে দেহটি দাহ করেছেন। তবে ওই অশরীরী আত্মাটি কে, তার কোনও ব্যাখ্যা দেননি পঞ্চায়েত সদস্য। স্থানীয়রা জানান, ওই শ্মশানটির কোনও আইনি বৈধতা নেই। অনেক সময়ই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া এখানে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।    

শ্মশানে অস্থায়ী কর্মী কালু বাসফোড় জানান, তিনি উপস্থিত না থাকলে যে কেউ এসে এই শ্মশানে দাহ করে চলে যায়। ওই নাবালিকাকে যেদিন দাহ করা হয়েছিল সেই রাতে তিনি ছিলেন না। 

উল্লেখ্য, নদিয়ার হাঁসখালি-কাণ্ডে ঠিক এই রকম একটি অবৈধ শ্মশান নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য। ওই শ্মশানে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই  ধর্ষণের পর মৃত্যু হওয়া এক নাবালিকার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চলছে। ওই ঘটনায় শাসকদলেরও নাম জড়িয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, একটি ছোট ঘটনা নিয়ে মিডিয়া হইহল্লা শুরু করেছে। মেয়েটির কারও সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকতে পারে। সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। সেই সব বিবেচনা না করেই মিডিয়া হইচই করছে।  

RELATED ARTICLES

Most Popular