মুর্শিদাবাদ: দত্তপুকুরে (Duttapukur) নীলগঞ্জে ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Blast) ঘটনায় এখনও অবধি আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বাসিন্দা। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে আরও বেশ কিছু ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত জগতাই-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন চাঁদরা গ্রামের বাসিন্দা। দত্তপুকুর থানা এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানাতে বিস্ফোরণের পর ওই গ্রামের বেশ কিছু ব্যক্তির খোঁজ না মেলায় গ্রামে বাড়ছে আশঙ্কার। তবে গ্রামের কোন কোন বাসিন্দা নিখোঁজ তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামবাসীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের তালিকায় আছে মান্নান শেখ, আন্দাজ শেখ, রনি শেখ, হাবিব শেখ। এরা সকলেই মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা।তবে এখনও কারও পরিবারের সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। এমনও সূত্রের খবর, এই এলাকার অধিকাংশই বাজি কারখানার সঙ্গে যুক্ত। অনেকেই দত্তপুকুরে কাজ করেন। ফলে এই এলাকারও আরও কেউ নিহত হতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরাত আলি নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা প্রায় ১০ জনকে ওই বাজি কারখানায় কাজের জন্য নিয়ে গিয়েছিল। ওই শ্রমিকদের মধ্যে জেরাতের নিজের ছেলে এবং তার দাদা ঈশা শেখের ছেলেরাও রয়েছে। ইতিমধ্যে, মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি ব্লকের জগতাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন চাঁদরা এলাকার গ্রামের বাইরে জেরাতের বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:দত্তপুকুর বিস্ফোরণ-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার কেরামতের সহযোগী শফিক আলি
রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকা। তারপরেই শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে দেহাংশ নিহতদের। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় বাড়ির দেওয়াল। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অনেকেই আহত। তাঁদের ক্ষতও গুরুতর। আহতদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখানে একটি বাড়িতে অবৈধভাবে বাজি তৈরি চলছিল বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, বাজির আড়ালে আসলে বোমা তৈরি হত সেখানে।
এদিকে, রবিবারই দত্তপুকুরের ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। দোষীদের শাস্তির কথা শোনা যায় তাঁর মুখেও। রবিবার সন্ধ্যাতেই কালীঘাটে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার নগরপাল ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, দত্তপুকুর নিয়েই এই বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার দত্তপুকুর যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়কদের একটি দল। যাচ্ছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও।