বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলি থেকেই বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের এরাজ্যে নিয়োগ করা হয়। দিনহাটা সিতাই যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) শক্ত ঘাঁটি তাই এই এলাকায় বিএসএফের অত্যাচার আরও বেশি। কোচবিহারে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানের গুলিতে নিহত যুবকের বাড়িতে গিয়ে এমনই মন্তব্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ-র (Udayan Guha)। উল্লেখ্য, শনিবার দিনহাটা মহকুমার সীমান্তবর্তী এলাকা গিতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারবান্ধা গ্রামে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় স্থানীয় বাসিন্দা প্রেম বর্মনের।
রবিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর নেতৃত্বে নিহত ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে তাঁর বাড়িতে যান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পাশাপাশি তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন (Visit) করেন।
পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের ওই পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক (MLA) জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। এদিনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন- “কোচবিহার জেলায় বিএসএফ জওয়ানদের পাঠানো হয় যাতে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের অত্যাচার করতে পারে। বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্য গুলি থেকেই বিএসএফ জওয়ানদের এ রাজ্যে নিয়োগ করা হয়।” মৃতের পরিবারের দাবি- নিহত সাতাশ বছরের যুবক প্রেম বর্মণ একজন তামাক চাষী (Farmer)। শনিবার সকালে তিনি জমিতে তামাক চাষ করতে যাওয়ার সময় আচমকাই বিএসএফের জওয়ানরা গুলি চালায় (Firing)। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে আসা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ (WB Police)।