গোসাবা: গোসাবার শম্ভুনগরে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জন মণ্ডলকে গুলি করার ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা প্রধান বরুণ প্রামাণিককে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলও করেন। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি পরিতোষ হালদার। মিছিলে ছিলেন তাঁর অনুগামীরাও।
সোমবার রাতে গোসাবা ব্লকের শম্ভুনগরে তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জনকে গুলি করা হয়। তিনি বাজার থেকে ফেরার পথে ওই ঘটনা ঘটে। রাত থেকেই বরুণ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। এদিন সকাল থেকেই গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
আরও পড়ুন: ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে, গোসাবায় গুলিবদ্ধ তৃণমূলকর্মী
গোসাবা, বাসন্তী প্রভৃতি এলাকায় অনেকদিন ধরেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। লড়াই মূলত যুব তৃণমূল এবং মূল তৃণমূলের মধ্যে। এর আগে একাধিক এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘটে। তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বলেছেন, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু তাতেও গোষ্ঠী কোন্দল কমার কোনও লক্ষণ নেই। সোমবার রাতের ঘটনা তার সাম্প্রতিক নজির।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানান, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বরুণ গোসাবায় বিজেপির প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন। তিনি তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্করের কাছে পরাজিত হন। কয়েক মাস আগে বরুণ ফের তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর থেকেই শাসকদলের বিভিন্ন কর্মসূচিকে বরুণকে খুবই সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়।
আরও পড়ুন: হিঙ্গলগঞ্জে শীতবস্ত্র পৌঁছয়নি, সভাস্থলে অবস্থান ক্ষুব্ধ মমতার
জেলা এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, বরুণ আসলে বিজেপি করেন। তিনি তৃণমূল দলটাকে শেষ করার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় সোমবার রাতেই অসীম মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মনোরঞ্জনের পরিবারের অভিযোগ, অসীম এবং তার সহযোগীরা পিছন থেকে গুলি করে। অসীম এলাকায় বরুণের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মঙ্গলবার অসীমকে আদালতে তোলা হয়। আরও কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।