দেগঙ্গা: কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশে দুয়ারে সরকার (duyare sarkar) শিবির চলছে। তার চারশো মিটার দূরে দুষ্কৃতীরা বোমা, পিস্তল (gun) নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গফফর আলির দলবল এই তাণ্ডব করে। কে অভিযোগ করছেন? বিরোধী দলের কেউ নন। অভিযোগ খোদ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান অজয় বৈদ্যের। তিনি স্পষ্ট বলে দিলেন, এভাবে দল চলতে পারে না। আমি দলকে জানিয়ে দেব, প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাই।
শাসকদলের অন্দরের খবর, দেগঙ্গায় তৃণমূলের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী রয়েছে। কলসুর গ্রামে এর আগেও বহুবার শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘটেছে। প্রধান এবং উপপ্রধানের মধ্যে কোনও বনিবনা নেই। আগেও অনেকবার এলাকায় বোমা, গুলির লড়াই হয়েছে দুই গোষ্ঠীর।
আরও পড়ুন Nadia TMC: ফের তৃণমূলের দাদাগিরি, জমি বিবাদে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ
শনিবার দুয়ারে সরকার শিবির চলাকালীনই দুষ্কৃতীদের দাপাদাপিতে শিবিরে আসা মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রধান অজয় বৈদ্য খোলাখুলি স্বীকার করে নেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, আগেও এখানে মারামারি করেছে গফফর বাহিনী। আজও তারা হামলা করে। স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন, অনেকের হাতেই বোমা, বন্দুক ছিল।
প্রধান বলেন, আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে সব জানাব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো পাব না। আমি স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে সব বলব। জানিয়ে দেব, এ ভাবে দল চলতে পারে না। আমি আর প্রধানের দায়িত্ব সামলাতে পারব না। আর প্রধান থাকতেও চাই না।
এদিনই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে উত্তর মোকামবেরিয়ায় তৃণমূলের চলো গ্রামে যাই কর্মসূচি ঘিরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল হয়। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার বর্ধমান শহরে দুয়ারে সরকার শিবির চলাকালীনই দুই তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে মারামারি হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠু সিংয়ের এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।